এর আগে সাংমা জানিয়েছিলেন, ‘অপ্রাসঙ্গিক’ কারওর সঙ্গে বিতর্কে আগ্রহী নয় মেঘালয় সরকার৷ ২৭ সেপ্টেম্বর, সাংমার উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠিতে গোখলে, ২০১৯ সালে সাংমার সঙ্গে তাঁর দিল্লিতে সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা মনে করিয়ে জানিয়েছেন, এমডিএ সরকারের আকাশছোঁয়া দুর্নীতি অস্বীকার করতেই হয়তো সাংমার স্মৃতিলোপ হয়েছে। সাংমাকে ‘মনে করিয়ে’ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ভারতীয় সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র’।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতা জেলে, আজ কে উদ্বোধন করবেন নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো, জানুন
এর আগেও একাধিক চিঠিতে মেঘালয়ের এমডিএ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির প্রমাণ প্রকাশ্যে এনেছেন তৃণমূল জাতীয় মুখপাত্র। মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টন তিনসংকেও প্রকাশ্য বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যদিও তাঁর কোনও সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনসং।
গোখলে জানিয়েছেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে এমডিএ সরকারে কোনও এক মন্ত্রীকে প্রতিনিধি হিসাবে পাঠানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
২০১৮ থেকেই কনরাড সাংমার এনপিপি চালিত এমডিএ সরকারের আমলে একের পর দুর্নীতিতে বিধ্বস্ত হয়েছে মেঘালয়। এক দিকে সরকারি দফতরের তরফে তছরুপের অভিযোগ ও অন্যদিকে বহিরাগত ঠিকাদারদের সঙ্গে সরকারের আর্থিক চুক্তি- একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে । কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই যথার্থ কোনও পদক্ষেপ করেনি সাংমা সরকার। মেঘালয় নিয়ে একাধিক বার সেই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এমন কী দিল্লির অলিন্দে মেঘালয় নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷