অটোমোবাইলের সফল চলাচল ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরবি-সাইরাং নতুন রেললাইনের কৌশলগত গুরুত্বকে তুলে ধরেছে, যা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে-এর আওতাধীন দুর্গম ভূখণ্ড এবং ৪৫টি টানেলের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত একটি চ্যালেঞ্জিং কৌশলগত কৃতিত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে উদ্বোধন করা এই লাইনটি মিজোরামকে সম্পূর্ণরূপে ন্যাশনাল রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এর পর থেকে শক্তিশালী যাত্রী পরিষেবা নিশ্চিত করেছে, এবং রাজধানী এক্সপ্রেস, মিজোরাম এক্সপ্রেস ও সাইরাং-কলকাতা এক্সপ্রেসে যাত্রীসংখ্যা অত্যন্ত বেশি, যা এই রেলওয়ে জোনের দ্বারা প্রদত্ত রেল সংযোগের প্রতি জনসাধারণের আস্থা প্রতিফলিত করে।
advertisement
আরও পড়ুন : ২.৫ লক্ষ টাকা দামের পোষা ম্যাকাওকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ভৈরবি-সাইরাং সেকশনে মালবাহী ও পার্সেল পরিবহণ কার্যক্রমও দ্রুত সম্প্রসারণ করেছে এবং সিমেন্ট, নির্মাণ সামগ্রী, অটোমোবাইল, বালি, স্টোন চিপস ইত্যাদির মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রী পরিবহণ করছে। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রথম মালবাহী পরিবহণে অসম থেকে আইজল পর্যন্ত ২১টি সিমেন্টের ওয়াগন পরিবহণ করা হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে দিল্লিতে অ্যান্থুরিয়াম ফুল পরিবহণ-সহ প্রথম পার্সেল পরিষেবাগুলো স্থানীয় উৎপাদকদের জন্য নতুন বাজারের সুযোগ খুলে দিয়েছে। ২০২৫-এর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৭টি রেক পরিবহণের মাধ্যমে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মিজোরামকে একটি নির্ভরযোগ্য লজিস্টিকস এবং মোবিলিটি হাবে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
