এই প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির এই ডাক্তার পাসপোর্টের জন্যও আবেদন করেছিলেন। তাঁদের সহযোগীরা যখন বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিলেন সে তখন পালিয়ে যাওয়ারই পরিকল্পনা করছিল বলে মত তদন্তকারী আধিকারিকদের।
কিন্তু, সেই প্ল্যান ভেস্তে যেতে শুরু করে জম্মু এবং কাশ্মীর ও ফরিদাবাদে তাঁদের সহযোগীরা গ্রেফতার হতেই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৩ নভেম্বর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিল শাহিন। সেই সময়েই ফরিদাবাদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁর ছবিও তোলেন। সেই সময়েই তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। শেষে গত ১১ নভেম্বর লখনউ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
ফরিদাবাদের ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, “জম্মু এবং কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। শুধু জানানো হয়েছিল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মহিলা ডাক্তারকে তাঁরা খুঁজছে কারণ জম্মু-কাশ্মীরে ওই মহিলা আপত্তিজনক পোস্টার লাগিয়েছিলেন। কিছুদিন বাদে আমরা গোটা বিষয় জানতে পারি।”
এখনও পর্যন্ত মোট চারজন ডাক্তারকে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই অনুযায়ীই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মূলত জইশ-ই-মহম্মদের টেরর মডিউলেই ১০ নভেম্বরে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ইতিমধ্যেই, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রেজিস্টার এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল রেজিস্টার দুই সংস্থার পক্ষ থেকেই চার ডাক্তার যেমন- মুজফফর আহমেদ, আবদেল আহমেদ রাথের, মুজামিল শাকিল এবং শাহিন সাইদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে।
এই বাতিল প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, “উল্লেখিত ডাক্তাররা আর কোনও ভাবেই কোনও রোগী দেখতে পারবেন না। এছাড়াও, ভারতবর্ষের কোথাও মেডিক্যাল কোনও অ্যাপয়ন্টমেন্ট নিতে পারবেন না।”
এনএমসি-এর এই নির্দেশের ফলে দেশের কোথাও এই সন্ত্রাসবাদী ডাক্তাররা কোনওভাবেই ভারতের কোথাও প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।
