মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে এবার ধর্মযুদ্ধ। যিনি গেরুয়া পোশাকে ধর্মযুদ্ধের কথা বলছেন, তিনি জঙ্গি কাজকর্মে যুক্ত থাকায় অভিযুক্ত। ২০০৮ সালে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলাতেও অভিযুক্ত। এখন জামিনে মুক্ত। তাঁকে বার বার হিন্দু সন্ত্রাসের মুখ বলে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের যে নেতা সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন সেই দিগ্বিজয় সিংয়েরই প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপি ভোপালে টিকিট দিয়েছে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। ভোটের ময়দানে প্রতিপক্ষ সাধ্বীকে স্বাগত জানিয়েছেন দিগ্বিজয় ৷
advertisement
দীর্ঘ দিন ধরেই ভোপাল গেরুয়া দূর্গ ৷ ১৯৮৯ সাল থেকে টানা জিতেছে বিজেপি ৷ এখানে ১৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ সংখ্যালঘু ৷এ হেন ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির তাস সেই ধর্মীয় মেরুকরণ। এখানে বিজেপির মুখ কট্টরপন্থী সাধ্বী। যাঁর সাংবাদিক বৈঠকেও রাম নাম।
মুখে রাম নাম। চোখে জল। জঙ্গি কাজকর্ম এবং মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞার দাবি, কংগ্রেস আমলে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করেছেন তদন্তকারীরা যাতে তিনি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেন।
কংগ্রেস অবশ্য বসে নেই। তাদের দাবি, জঙ্গি কাজকর্মে যিনি অভিযুক্ত, তিনি যেন ভোটে না লড়তে পারেন। এনিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনে চিঠি লেখে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য কংগ্রেসের এই দাবি খারিজ করে দেয়। তাদের যুক্তি, দোষী সাব্যস্ত না হলে কাউকে ভোটে লড়া থেকে আটকানো যায় না। কিন্তু, এতে কংগ্রেস থামছে না। এবার তাদের আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি।
জল অবশ্য ইতিমধ্যেই আদালতে গড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রের যে এনআইএ আদালত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে জামিন দিয়েছিল, সেখানে আবেদন জানিয়েছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণে এক নিহতের বাবা। তাঁর বক্তব্য, স্বাস্থ্যের কারণে সাধ্বী জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি এই গরমে যখন ভোটে লড়ছেন তার মানে তো তিনি সুস্থ। অর্থাৎ, সাধ্বী প্রজ্ঞা আদালতকে ভুল বুঝিয়েছেন। তাই তাঁর ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। ২৩ এপ্রিল এর জবাব দেবে এনআইএ। সেদিন শুনানিরও সম্ভাবনা।