গত ৪ জুলাই গাজিয়াবাদে এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সমস্ত ভারতীয়র ডিএনএ-ই এক। তাঁর ধর্ম যাই হোক না কেন।’’ গণতন্ত্রে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে কোনও ফারাক থাকতে পারে না বলেও জানান তিনি। এমনকী, ধর্মের নামে নিপীড়ন, মারধরের ঘটনার বিরোধিতা করে প্রবীণ নেতা বলেছিলেন, যে হিন্দুরা এই ধরনের কাজে জড়িত থাকে তারা আসলে হিন্দুত্বের বিরোধী। শনিবার রাজস্থানের দৌসায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাধ্বী। তখনই তিনি মোহন ভাগবতের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চরম বিরোধিতা করে ওই মন্তব্য করেন। জানিয়ে দেন, বাকি ভারতীয়দের সঙ্গে গোমাংস ভক্ষণকারীদের ডিএনএ এক হতে পারে না।
advertisement
এমন মন্তব্যের পাশাপাশি লাভ জিহাদ নিয়েও তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধ্বী। নেত্রীর কথায়, ‘‘লাভ জিহাদের মাধ্যমে যেভাবে মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, তা থামাতেই হবে সরকারকে।’’ এদিকে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়েও মুখ খুলেছেন সাধ্বী। তাঁর দাবি, সংসদে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার আইন আনা হোক। সেই আইনে দুইয়ের বেশি সন্তানের অভিভাবকদের সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হোক। দু' জনের বেশি বাচ্চা থাকলে সেই পরিবারকে সরকারী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন সাধ্বী। এমনকি তাঁর মতে দু'জনের বেশি সন্তানের ক্ষেত্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারও নেওয়া উচিত!
এদিকে মোহন ভাগবতের বক্তব্য ঘিরে কেউ কেউ বিরোধিতা করলেও আরএসএসের এক শীর্ষ নেতার দাবি, যারা মোহন ভাগবতের বক্তব্যের বিরোধিতা করছে তারা কেউ স্বয়ংসেবক নন। মোহন ভাগবত ভারতের হৃদয়ের কথাই বলেছেন৷