তবে সচিন পাইলট কংগ্রেস ছাড়লেও বিজেপি-তে যোগ দেবেন না বলেই দাবি করা হচ্ছে৷ বরং শতাব্দী প্রাচীন দল ছেড়ে রাজস্থানে তিনি নিজের নতুন দলের ঘোষণা করতে পারেন বলে খবর৷ আগামী সপ্তাহেই সচিন পাইলটের পরবর্তী পদক্ষেপ আরও স্পষ্ট হবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে সচিন পাইলটের বিবাদ নতুন কিছু নয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: শুধু মোদির মুখ আর হিন্দু আবেগে ২৪-এর বৈতরণী পেরোবে না, বিজেপিকে সতর্ক করল আরএসএস
২০১৮ সালে রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার গড়ার পর থেকেই এই বিবাদ বার বার সামনে এসেছে৷ এমন কি, ২০২০ সালে পাইলটকে রাজস্থানে দলের সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর পরে বিদ্রোহের পথে হেঁটেছিলেন পাইলট৷ শেষ পর্যন্ত কোনওক্রমে তাঁকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন রাহুল গান্ধিরা৷ তবে এবার পাইলটের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে বলেই খবর৷
রাজস্থানে চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন৷ কর্ণাটকে জয়ের পর রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে নতুন উদ্যমে ঝাঁপানোর কথা ভাবছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব৷ সেখানে এখন তাঁদের সামনে পাইলটকে দলে ধরে রাখাই প্রধান চ্যালেঞ্জ৷
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশ থেকে সরানো হল হলেন দময়ন্তী সেনকে! রুটিন বদলি, দাবি সরকার সূত্রের
মঙ্গলবার পাইলট নিজের অনড় মনোভাবের ইঙ্গিত দিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের দাবি থেকে তিনি সরে আসবেন না৷ পূর্বতন বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ সহ যে যে দাবিগুিল তিনি তুলেছেন, সে সম্পর্কে দলের হাইকম্যান্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি৷
পাইলট ঘনিষ্ঠ নেতাদের অবশ্য দাবি, কোনও পদ নয়৷ নৈতিকতার প্রশ্নেই নিজের দাবিগুলি তুলেছেন পাইলট৷ কেন বিজেপি সরকারের আমলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত হবে না, এই প্রশ্নগুলি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে তুলেছেন তিনি৷
রাজস্থান সহ দিল্লির রাজনীতিতে এখন জোর চর্চা, আগামী ১১ জুন সম্ভবত নিজের নতুন দলের ঘোষণা করতে চলেছেন সচিন পাইলট৷ যদিও এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি সুখবিন্দর সিং রানধওয়া৷
রাজস্থানের দৌসায় সচিন পাইলটের বাবা প্রয়াত রাজেশ পাইলটের মৃত্যুবার্ষিকীর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে৷ রাজস্থানের মন্ত্রী এবং পাইলট ঘনিষ্ঠ নেতা মুরারি লাল মীনা সেই প্রস্তুতির তদারকি করছেন৷ তাঁরও দাবি, পাইলট নতুন দল করছেন এমন জল্পনার কোনও ভিত্তি তাঁর জানা নেই৷
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর দাবি, অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটকে মুখোমুখি বসিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধি গত ২৯ মে দুই নেতার মধ্যে বিবাদ মেটানোর যে চেষ্টা করেছিলেন, তা ব্যর্থ হয়েছে৷ কারণ দু জনের মধ্যে সংঘাতের মূল বিষয়গুলিরই কোনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই বৈছকে৷