এই সিদ্ধান্তে সরকার সমর্থন পেয়েছে, মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি, অরবিন্দ কেজওয়ালের আপ, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, শরিক শিবসেনা, টিআরএস এবং টিডিপি’র। তবে তিন -তালাকের পর এবারও মোদির এনডিএ সরকারকে ধাক্কা দিয়েছে শরিক সংযুক্ত জনতা দল। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধিতায় কংগ্রেস, পিডিপি, সমাজবাদীপার্টি, সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে।
সোমবার বিজেপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বদলে গেল জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ৷ ৬৯ বছর পর রদ ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ৷ বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারাল জম্মু ও কাশ্মীর ৷ একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে আলাদা করে দেওয়া হল লাদাখকে। দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু- কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ - দু’টি জায়গাতেই থাকবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর৷
advertisement
সপ্তাহের শুরুতে রাজ্যসভায় যেন তোপ পড়ল। সোমবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ তকমা প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তে উত্তাল হল সংসদের উচ্চকক্ষ। ভবিষ্যতের কাশ্মীর গড়ার মোদি-শাহদের প্রস্তাবনা ছিঁড়ে ফেললেন দুই পিডিপি সাংসদ মীর ফৈয়াজ এবং নাজির আহমেদ। তাঁদের প্রতিবাদ অন্যমাত্রা নিল, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা গুলাম নবি আজাদের বিতন্ডায়।
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, উপত্যকা থেকে 370 ধারা (Article 370) খারিজ করে সংবিধানকে খুন করল বিজেপি। কপিল সিব্বল প্রশ্ন করেন, ‘একক সিদ্ধান্তে এটা করা হল ৷ জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল ৷ এই নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা হয়নি ৷ একেই কি গণতন্ত্র বলে?’