মহাজোটের হয়ে বিহারে ৭০টি আসনে লড়েছিল কংগ্রেস৷ শেষ পর্যন্ত মাত্র ২০টি আসনে জয়ী হয় তারা৷ অন্যদিকে বিহারে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে আরজেডি৷ ভাল ফল করে মহাজোটের শরিক বামেরাও৷ কিন্তু তার পরেও কংগ্রেসের ব্যর্থতাতেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় মহাজোট৷
শিবানন্দ তিওয়ারির অভিযোগ, বিহারে ভোট প্রচার পর্বে মাত্র তিনটি জনসভা করেন রাহুল গান্ধি৷ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি প্রচারেই আসেননি৷ এমন সব নেতাদের বিহারে জনসভা করতে পাঠায় কংগ্রেস, যাঁদের মুখই ভাল ভাবে চেনেন না বিহারের ভোটাররা৷ তার ফলেই বিহারে কংগ্রেসের এই দুরবস্থা বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই আরজেডি নেতা৷
advertisement
শিবানন্দ তিওয়ারি বলেন, 'বিহারে ভোটের প্রচার যখন তুঙ্গে তখন সিমলায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধির বাড়িতে পিকনিক করছিলেন রাহুল গান্ধি৷ এ ভাবে একটা দল চলে? এর পর তো অভিযোগ উঠবে বিজেপি-র সুবিধা করতেই এ ভাবে চলছে কংগ্রেস৷'
ওই নেতা কটাক্ষ করে বলেন, শুধু বিহারে নয় অন্যান্য রাজ্যেও কংগ্রেস যতসম্ভব বেশি আসনে লড়ে৷ কিন্তু বেশি সংখ্যক আসনে জিততে পারে না তারা৷
কংগ্রেস নেতাদের একাংশের অবশ্য দাবি, বিহারে মহাজোটের আসন রফা চূড়ান্ত করতে দেরি হওয়াতেই ভোটে অল্পের জন্য হারতে হয়েছে৷ কংগ্রেস নেতা তারিক আনওয়ার এমনই দাবি করেছেন৷ কিন্তু বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনে বিশ্রি ব্যর্থতার পর কংগ্রেসের মধ্যেও বিদ্রোহের সুর জোরাল হচ্ছে৷ দল যেভাবে চলছে তাতে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন সিনিয়র নেতা কপিল সিবাল৷ তিনি বলেছেন, মানুষ আর কংগ্রেসকে বিকল্প হিসেবেও ভাবছে না৷