সাক্ষাৎকারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানকে দুর্বল করার জন্য কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলিকে দায়ী করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেখানে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কি দুর্নীতির মামলা চালানো যাবে না? এটাই কি ওঁরা চাইছে?”
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে না আসার হুমকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের !
advertisement
এর পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি যে, “গুজরাত থেকে মামলা মুম্বই হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করে। আদালত জানায় যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে রাজনৈতিক নির্দেশেই সিবিআই এই মামলাগুলি ঠুকেছিল। তবে কোর্টের নির্দেশে এই মামলা খারিজ হয় এবং মুক্তি পাই আমি। তখন তো চিদম্বরম, সনিয়া গান্ধি থেকে শুরু করে মনমোহন সিং ক্ষমতায় ছিলেন, রাহুল তো সাংসদ ছিলেন। অথচ আমরা ঝামেলা করিনি। আর এ-দিকে এঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দুর্নীতির মামলা। আবার অশ্লীল ভাষা ব্যবহারের জন্য রাহুলের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তবে এগুলো কোনওটাই ভুয়ো মামলা নয়।”
অমিত শাহের প্রশ্ন, রাহুলের আগেও ১৭ জন সদস্য লোকসভার সদস্যপদ হারিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন লালু প্রসাদ ও জয়ললিতার মতো ব্যক্তিত্বরাও। তখন কি গণতন্ত্র বিপদের মুখে পড়েনি? অথচ একটি মানহানির মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুরাত আদালত। আর তাই গণতন্ত্র বিপদের মুখে পড়েছে। এদিকে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে না গিয়ে রাহুল ঝামেলা করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দায়ী করছেন!
আরও পড়ুন- মোদিকে 'ফাঁসাতে' চাপ দিয়েছিল CBI! অমিত শাহের মারাত্মক দাবি, ফের উঠে এল এনকাউন্টার মামলা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথায়, “কংগ্রেস শাসিত ইউপিএ সরকার একটি অধ্যাদেশ এনেছিল। আর সকলের চোখের সামনে রাহুল নিজেই তো সেটা ছিঁড়ে ফেলেছেন। এখন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে চোখের জল ফেলছেন। আর যে আইনের অধীনে তিনি সদস্যপদ হারিয়েছেন, কংগ্রেস চাইছে সেটা সংশোধন করতে। কিন্তু আমরা তা বদলাতে চাই না। আর কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, সেই প্রসঙ্গে আমার কংগ্রেসের বন্ধুদের একটা কথাই বলতে চাই যে, কারও দিকে একটা আঙুল তুললে আপনার দিকেও আরও চারটে আঙুল উঠবে। আর দেশবাসী আপনাদের শাসনকালে অনেক কিছু দেখেছেন। কিন্তু আমরা তখন কালো পাগড়ি ও কালো পোশাক পরিনি। বিষয়টা আইনি, তাই আইন ব্যবস্থার উপরেই ভরসা রাখা উচিত।” এখানেই শেষ নয়, বীর সাভারকরের বিষয়ে রাহুলের মন্তব্য নিয়ে তীব্র করেন শাহ। জানান, এই দেশের জন্য বীর সাভারকরের মতো মানুষকে অনেক সহ্য করতে হয়েছিল। সাভারকর প্রসঙ্গে নিজের ঠাকুরমার থেকেই শোনা উচিত ছিল রাহুলের।
আবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিরোধীদের একজোট হওয়ার বিষয়টিকেও একহাত নিলেন শাহ। বললেন, এই সব কথাবার্তা হচ্ছে শুধুমাত্র টিআরপি বাড়ানোর জন্য। ২০১৯-এর তুলনায় আরও দুর্দান্ত ভাবে ভোটে জিতে ২০২৪-এ ফের ক্ষমতায় আসবে মোদি শাসিত এনডিএ।