এর পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে Network18-এর গ্রুপ এডিটর-ইন-চিফ রাহুল জোশীর কাছে আর কী কী বললেন অমিত শাহ, সেটাই দেখে নেওয়া যাক ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে, আগামী ২০৪৭-এ ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ। এই সময়ের মধ্যে সব ক্ষেত্রেই ভারত শ্রেষ্ঠ স্থান লাভ করবে। ১০ বছরে প্রতিরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছে ভারত। আর এর কৃতিত্ব তাঁদের, যাঁরা একদম মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- ২০২৪-এ ফের ক্ষমতায় আসবেন মোদি! রাইজিং ইন্ডিয়ার মঞ্চে বিরোধীদের বিঁধে জানালেন অমিত শাহ
রাহুল জোশী তাঁকে প্রশ্ন করেন যে, রাইজিং ইন্ডিয়া বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন আপনি? আর বাস্তবের নায়কদের এখানে ভূমিকাই বা কতটা? জবাবে শাহ জানান, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতকে প্রথম স্থানে দেখার স্বপ্ন দেখেন। এমনকী, বিগত ৯ বছরে এই লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজও হয়েছে। সে ক্রীড়ার ক্ষেত্রেই হোক, কিংবা আর্থিক ক্ষেত্রে। এমনকী, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেও বড় কৃতিত্ব অর্জন করেছি। এ-ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের তুলনায় জোরদার হয়েছে এবং মাওবাদী কার্যকলাপও দমন করা হয়েছে। আর আমাদের বিশ্বাস, আমরা মোদিজির স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।”
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে না আসার হুমকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের !
অমিত শাহ মুখ খুলেছেন খলিস্তান এবং অমৃতপাল প্রসঙ্গেও। বলেন, “আমি সব কিছু তো জনসমক্ষে বলতে পারি না। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতি ৩ মাস অন্তর বৈঠক করি। মোদি সরকার রাজ্যগুলির পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার মাঝে অবশ্য রাজনীতিকে আনা হয় না। ফলে খলিস্তান প্রসঙ্গে পঞ্জাব সরকার যে পদক্ষেপ করতে চায় করুক, কেন্দ্র তাদের পাশেই থাকবে।” অমৃতপাল কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না, এই প্রসঙ্গে শাহের জবাব, "কার ভুল সেটা বলার সময় আসেনি। অনেককেই ধরা হয়েছে, এমনকী তাদের থেকে অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পুলিশ এবং সংস্থাগুলি নিজেদের কাজ করছে।"
শাহের কথায় উঠে এসেছে, মাদক সমস্যার কথাও। তিনি বলেন, “এর সঙ্গে বরাবরই লড়ছে ভারত। কিন্তু মোদিজি প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হওয়ার পরে সেই লড়াইয়ের ধরনে কিছুটা হলেও বদল এসেছে। আমরা ২০২০ সালে একটি এনকোডেড ব্যবস্থা চালু করেছি। রাজ্য এবং কেন্দ্র একযোগে এটা নিয়ে লড়াই করছে।”