নানা ক্ষেত্রের স্বমহিমায় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন। উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরাও। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য হিরোজ অফ রাইজিং ইন্ডিয়া’। সাধারণ মানুষের অসাধারণ অবদানকেই এই মেগা-ইভেন্টে সম্মান জানানো হবে। এমন ২০ জন নায়ককেই সম্মানিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মনের কথায় তাঁর বাস
তাঁদের মধ্যে এমনই এক জন হলেন হরিয়ানার কাইথাল গ্রামের কৃষক বীরেন্দ্র যাদব। আগাছা পোড়ানোর বিষয়টাকে অভিনব কায়দায় নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। এমনকী ২০২০ সালের মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বীরেন্দ্র যাদবের বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন। কীভাবে তিনি কৃষি-শক্তি প্ল্যান্ট এবং কাগজের কলে আগাছা বিক্রি করে মুনাফা লাভ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সাধারণ মানুষের অসাধারণ কৃতিত্বকে সম্মান, আজ থেকে শুরু ‘Rising India’ সামিট
এর জন্য কৃষি বিভাগের সাহায্য নিয়ে একটি স্ট্র বেলার মেশিন কিনেছিলেন ওই কৃষক। খড় এবং আগাছা একসঙ্গে বেঁধে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করেছেন। বীরেন্দ্র দাবি, মাত্র ২ বছরে তিনি আড়াই কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ আগাছা বিক্রি করেছেন। আর এভাবেই তিনি রীতিমতো অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। আসলে উত্তর ভারতে প্রতি বছর শীতের সময় কৃষকরা আগাছা পুড়িয়ে থাকেন। যার কারণে বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। সেখানে সেই আগাছাকে এভাবে কাজে লাগানোর জন্য সত্যিই সমাজের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বীরেন্দ্র।
স্বচ্ছ ভারতের নতুন কাণ্ডারী
এখানেই শেষ নয়, সম্মানিত নায়কদের তালিকায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার বাসিন্দা বিলাল আহমেদ দার-ও। নিজের কৃতিত্বের জন্য এই তরুণও জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেছেন। পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তাঁকে ঘোষণা করেছে শ্রীনগর পুরসভা। এমনকী ২০১৭ সালে মন কি বাত-এ বিলালের বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি। এক বছরে উলার হ্রদ থেকে ১২০০০ কেজির বেশি পরিমাণ আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য বছর আঠেরোর এই তরুণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি।
এখানেই শেষ নয়, এখনও তিনি একই ভাবে এই কাজ করে চলেছেন। কাশ্মীরের বিভিন্ন হ্রদ কিংবা জলজ জায়গাকে আবর্জনামুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কঠোর পরিশ্রম এবং কাজের প্রতি তাঁর এহেন উৎসাহ অন্যদের জন্য এক নজির তৈরি করেছে।