উত্তরাখণ্ড স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস আয়োজিত অ্যান্টি সাবসটেন্স অ্যাবিউজ কর্মশালা, যা দেহরাদুনে আয়োজিত হয়েছিল, সেখানেই এই বক্তব্য রাখেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। এতে যোগ দেন বলিউডের তারকারাও। সম্প্রতি অভিনেত্রী ও মডেল গুল পনাগ (Gul Panag) তাঁর মেয়েকে নিয়ে রিপড জিনস পরে একটি ছবি দেন। রিপড জিনস পরে ছবি দেন কঙ্গনা রানাউতও (Kangana Ranaut)। তিনি বলেন স্টাইল বজায় রেখে এই জিনস পরলে কোনও দোষ হয় না। একই পোশাক পরে বার্তা দেন অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দা (Navya Naveli Nanda)। নভ্যা বলেন যে সমাজের মানসিকতা পাল্টানো অনেক বেশি জরুরি, নিজের পোশাক পরিবর্তন করার চেয়ে।
advertisement
তবে আজ এই জিনস নিয়ে এত বিতর্ক হলেও, এই পোশাকের জন্ম ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরনো। এক সময়ে এখানে ফাটা, ওখানে ছেঁড়া এই জিনস নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত। পরে দেখা যায় সেটাই ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৮৭০ সালে লোয়েব স্ত্রস নামে এক জার্মান ব্যবসায়ী এই জিনসের ডিজাইন করেন। পরে অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর নকশায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই জিনস মূলত ডিজাইন করা হয়েছিল শ্রমিক সম্প্রদায়ের জন্য। জিনসের রঙ রাখা হয়েছিল ঘন নীল, যাতে সেটা চট করে নোংরা না হয়। এই নীল রঙ যেত ভারত থেকে।
আর পরে ১৯৭০-এর দিকে এই জিনস রাজনৈতিক আন্দোলনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। তরুণ প্রজন্ম ভাবতে শুরু করে যে এই কাটা দাগ তাঁদের রাগ আর আক্রোশের অনুরণন। অনেকে বাড়িতেই ভালো জিনস কেটে দিয়ে সেটা পরতে শুরু করেন। রিপড জিনসকে সেই সময় গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা দেন পপ তারকা ম্যাডোনা (Madonna)।
অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেলেও অনেকে এই ট্রাউজারের বিরোধিতাও করেন। তাঁদের মতে এই ছেঁড়া ফাটার ব্যাপারটা বাড়িতেই অনায়াসে করে নেওয়া যায়, তাই একগাদা দাম দিয়ে রিপড জিনস কেনার দরকার নেই।
২০১০ পর্যন্ত এই ফ্যাশন ইন থিং ছিল। পরে আবার 'ডিসট্রেসড' জিনস রূপে আত্মপ্রকাশ করে এই রিপড জিনস।