গত কয়েক বছরে নানা সময়ে অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ঘিরে বন্যপ্রাণ কর্মীদের কাছে উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, নানা সময়ে চোরা শিকারিদের দাপটে প্রাণ গিয়েছেন একাধিক গন্ডারের। রাজ্য সরকার কড়া ব্যবস্থা নিলেও পরিকাঠামোর অভাবে তা পুরোপুরি আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়নি। এর উপর গত কয়েক বছরে বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কাজিরাঙা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছে একাধিক গন্ডার। গত সোমবার থেকে এই পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছিল গন্ডার সুমারি। চলে বুধবার পর্যন্ত। চুয়াত্তরটি দলে ভাগ করে এই সুমারির কাজ হয়। ৪০টি হাতি ও ১৭টি গাড়িতে এই কাজ চালানো হয়। বন দফতরকে এই কাজে সাহায্য করে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
advertisement
কাজিরাঙায় বর্তমান গন্ডারের সংখ্যা ২৪১৩। এরমধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫৮২। মহিলা গন্ডার সাতশো তিরানব্বই। এমন ২০৬টি গন্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যাদের লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। সুমারিতে উঠে এসেছে, ১ বছরের গন্ডার রয়েছে ২৩০টি।
২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৪০১। শেষ ৩ বছরে কাজিরাঙায় গন্ডার বেড়েছে ১২টি । রাজ্য বন দফতর জানিয়েছেন, এই বছর বেশ কিছু কাজ পুরো করা যায়নি। তাই আগামী বছরেও সুমারির কাজ নতুন করে হবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চোরা শিকারিদের দাপটের পর গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে কাজিরাঙার কাছে সাফল্য।