রবিবার এক অনুষ্ঠানে গেহলট অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত আর ধর্মেন্দ্র প্রধান তাঁর সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন। সরকার ফেলতে অনেক টাকা বিলি করা হয়েছিল। এরপর তিনি বলেন, “যেসব বিধায়করা সেই টাকা নিয়েছিলেন, তাঁরা সেগুলি ফিরিয়ে দিন। যদি সেই টাকা খরচ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও আমরা সেটা ফেরানোর চেষ্টা করব। এ বিষয়ে হাইকমান্ডকে বলব।”
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলা কি বিপদমুক্ত, সাইক্লোন মোকা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, রইল আপডেট
দিন দুয়েক আগের ওই অনুষ্ঠানে অশোক গেহলট দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালে বিজেপির কয়েকজন নেতা-নেত্রী তাঁর সরকার বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন। প্রসঙ্গত, রাজস্থানের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট ও আরও ১৮জন কংগ্রেস বিধায়ক ২০২০ সালের জুলাই মাসে আচমকাই গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে দেন। এরপর হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সচিন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার পরে গেহলটের সঙ্গে পাইলটের তিক্ততা আরও বেড়ে যায়।
২০২০ সালের ওই ঘটনার প্রসঙ্গে গেহলট বলেন, “রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, বিধায়ক শোভা রানি এবং প্রাক্তন স্পিকার কৈলাস মেঘওয়াল জানতেন যে তাঁদের দলের লোকেরা রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ফেলতে চাইছে। কিন্তু তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেননি। বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং কৈলাশ মেঘওয়াল সেই সময় বলেছিলেন যে অর্থের বিনিময়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া বিজেপির ঐতিহ্য নয়। যাঁরা সরকার ফেলে দিচ্ছিলেন, তাঁদের তাঁরা সমর্থন করেননি। যেজন্য রাজস্থানে আমাদের সরকার এখনও ক্ষমতায় আছে।”