চার মাসে আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যতদিন চালু হচ্ছে, ততদিন ওয়েটিং লিস্টে টিকিট দেওয়া হত লম্বা। ফলে বহু মানুষ টিকিট কাটতেন। ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের পরে যদি দেখা যেত ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীরা কনফার্ম হতে পারেননি, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আর ওয়েটিংয়ে থাকা যাত্রীরা ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগে যদি টিকিট নিজেরাই বাতিল করতেন তাহলে ক্লার্কেজ চার্জ নেওয়া হত রেলের তরফে। রেল সূত্রে খবর, সেখান থেকে দেশজুড়ে ভাল টাকাই আসত রেলের ভাঁড়ারে।
advertisement
বাতিলের নিয়ম অনুযায়ী –
যদি যাত্রী তার রেল যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করেন তাহলে তার টিকিটের যে মূল্য কেটে নেওয়া হয়।
প্রথম শ্রেণির এসি বা এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ২৪০ টাকা
দ্বিতীয় শ্রেণির এসি ২০০ টাকা
তৃতীয় শ্রেণির এসি, এসি ইকনমি ১৮০ টাকা
স্লিপার ক্লাস দ্বিতীয় শ্রেণি ১২০ টাকা
দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৬০ টাকা
এর পাশাপাশি, যদি কোনও যাত্রী ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময়ের ৪৮ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বাতিল করেন তাহলে তাকে শ্রেণী অনুযায়ী এর ২৫% দিতে হত। ১২ ঘণ্টা থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করলে ৫০% দিতে হত। ৪ ঘণ্টা আগে বাতিল করলে কোনও অর্থ রেল ফেরত দেবে না।
১২০ দিনের রিজার্ভেশন উইন্ডো ৬০ দিনে নেমে আসায় এখন একটা নির্দিষ্ট সংখ্যার পরে রিগ্রেট করে দেওয়া হয়। ফলে ওয়েটিং লিস্টের যাত্রী ক্রমাগত কমছে। একটি দূরপাল্লার ট্রেনে স্লিপার ক্লাসে ৭২(৭৫) জন যাত্রী যেতে পারেন। থ্রি এসিতে যাত্রা করতে পারেন ৬৪(৬৬) জন যাত্রী। টু এসিতে যাত্রা করতে পারেন ৪৬(৪৯) জন যাত্রী।
রেলের আধিকারিকরা একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, আগে চার মাস আগে টিকিট বুকিং পরিষেবা চালু থাকায় একেবারে তাদের কোষাগারে চার মাসে আগেই অর্থ আসত। এখন সেটি কমে দুই মাস আগে হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। ভারতীয় রেলের অপারেটিং রেশিও নিয়ে প্রশ্ন আছে দীর্ঘদিন ধরে। আয় বাড়াতে পণ্য পরিবহণের ওপর জোর দিলেও, প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ, কর্মীদের বিপুল টাকা মেটাতে প্রচুর অর্থ খরচ হয়। এই অবস্থায় আয় কমায় কিছুটা হলেও সমস্যায় রেল। তবে আধিকারিকদের বক্তব্য, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
