বিদেশ থেকে নিয়ে আসা অগার মেশিন দিয়ে পাথর কেটে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছিল৷ সেই অগার মেশিন শুক্রবার রাতে পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়৷ পাইপের মধ্যে আটকে থাকা অগার মেশিনের একাংশ পাইপের ভিতর থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে৷ এবার হাতে করে শেষ কয়েক মিটার পথের পাথর কেটে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন উদ্ধারকারীরা৷ মাত্র কয়েক মিটারের সেই বাধা পেরোতেই সময় লেগে যাবে অনেকটা৷
advertisement
পাশাপাশি গতকাল থেকে পাহাড়ের উপর থেকেও পাথর কেটে নীচে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে ২০ মিটার খনন করে ফেলা সম্ভব হয়েছে৷ তবে পাহাড়ের উপর থেকে পাথর কেটে বিকল্প উদ্ধারের পথ তৈরি করতেও ১২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে৷
আরও পড়ুন: ৭ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’! ‘এই’ ট্রাভেল কোম্পানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের
এই নিয়ে ১৬ দিন সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা৷ তাঁদের শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতে সবরকম চেষ্টা চলছে৷ কিন্তু মানসিক ভাবে তাঁদের কীভাবে চাঙ্গা রাখা সম্ভব, তা নিয়েই এখন চিন্তা বাড়ছে৷ অগার মেশিন দিয়ে যতটুকু পাথর কাটা সম্ভব হয়েছিল, তার পর আরও ১৫ মিটার মতো পাথর কাটতে পারলেই আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব৷ এই ১৫ মিটার মতো পথের পাথরের বাধাই এবার হাতে ছোট যন্ত্র দিয়ে কেটে সরানো হবে৷ শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য পাইপ বসিয়ে যে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছিল, তার মধ্যে ঢুকে এই কাজ করবেন একজন শ্রমিক৷ যে পাথর কাটা হবে, সেগুলি বের করো আনবেন আরও একজন শ্রমিক৷
সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রায় ২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক৷ ওই অংশটুকুতে এখনও ধস বা অন্য কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই দাবি উদ্ধারকারীদের৷ ৬ ইঞ্চি চওড়া পাইপ দিয়ে ওই শ্রমিকদের কাছে খাবার, ওষুধ সহ জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের কথা বলার ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের চার ধাম প্রকল্পের মধ্যেই এই সিল্কইয়ারা সুড়ঙ্গের কাজ চলছিল৷ কবে এই ৪১ জন শ্রমিক মুক্তি পান, সেটাই এখন দেখার৷