মুকেশ আম্বানি বলেন, ড. মাসেলকর ও কিংবদন্তি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক এম এম শর্মা—এই দুই ব্যক্তিত্ব তাঁর চিন্তাধারা ও রিলায়েন্সের দীর্ঘ যাত্রাপথে গভীর প্রভাব ফেলেছেন। ড. মাসেলকরকে তিনি “নম্রতার প্রতীক” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, অসংখ্য সম্মান ও ডিগ্রি সত্ত্বেও তাঁর কাছে কাজই সবথেকে বড়।
advertisement
ড. মাসেলকরের জীবনযাত্রা তুলে ধরে আম্বানি বলেন, “মুম্বইয়ের রাস্তার আলোয় পড়াশোনা করা এক শিশু থেকে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় বিজ্ঞানচর্চার প্রতীক হয়ে ওঠা—এটাই আধুনিক ভারতের গল্প।” তাঁর মতে, সীমাবদ্ধতা থেকে উঠে এসে বিশ্বসম্মান অর্জনের এই যাত্রা নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা।
রিলায়েন্সে উদ্ভাবন সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ড. মাসেলকরের অবদানের কথাও তুলে ধরেন আম্বানি। ‘রিলায়েন্স ইনোভেশন কাউন্সিল’, ‘গান্ধীয় ইঞ্জিনিয়ারিং’ এবং “More from Less for More”—এই দর্শন কীভাবে সংস্থার সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করেন তিনি। জিও থেকে শুরু করে গ্রিন এনার্জি—সব ক্ষেত্রেই ড. মাসেলকরের ভাবনা ও দিশানির্দেশের কথা উল্লেখ করেন আম্বানি।
ভাষণের শেষদিকে মুকেশ আম্বানি বলেন, “প্রযুক্তি যদি সহমর্মিতা ছাড়া হয়, তা কেবল যন্ত্র। কিন্তু সহমর্মিতার সঙ্গে প্রযুক্তি হয়ে ওঠে সামাজিক আন্দোলন।” তিনি ড. মাসেলকরকে ‘গ্যাণ যোগী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, জ্ঞান, উদ্ভাবন ও মানবিকতার মেলবন্ধনেই ভারত ভবিষ্যতে বিশ্বনেতৃত্ব দেবে।
