দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর র্যালির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আন্দোলনরত কৃষকদের। কিন্তু তাঁদের লালকেল্লার দিকে যাওয়ার কোনও অনুমতি তাঁদের সেদিন ছিল না। এমনকি সেই পরিকল্পনাও নাকি তাঁদের ছিল না, এমনই জানিয়েছেন কৃষকনেতাদের একাংশ। তবে ঠিক কী কারণে আইন অমান্য করলেন তাঁরা? ঐতিহাসিক লালকেল্লার মর্যাদা কেন এ ভাবে নষ্ট করা হল? তবে কেউ কি প্ররোচনা দিয়েছিল এমন কাণ্ড ঘটানোর জন্য?...এই সব বিষয়েই কৃষকনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার পিছনে কোনও বা কারও প্ররোচনা ছিল কিনা সেই বিষয়েও জানার চেষ্টা করবেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
advertisement
প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লা চত্বরে যে নজিরবিহীন অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল, তার কোনও ইঙ্গিত আগে থেকে পায়নি পুলিশ। কৃষক সংগঠনগুলি ট্র্যাক্টর র্যালির অনুমতি চাইলে, পুলিশ সেই অনুমতি দিয়েছিল। এরপর আচমকাই বিদ্রোহী কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়েই লালকেল্লার দিকে অগ্রসর হন। সেই সময় পুলিশ বাধা দিতে এলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ঐতিহাসিক ওই সৌধ এলাকা। পুলিশের দিকে অস্ত্র উঁচিয়ে তেড়ে যেতেও দেখা যায় এক বিক্ষোভকারীকে। এখানেই শেষ হয়নি তাণ্ডব। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মধ্যেই বিক্ষোভরত কৃষকরা সংগঠনের পতাকা উড়িয়ে দেন লালকেল্লার ওপর। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশের মানুষ।
ঘটনার পরে এলাকার অন্তত ২০০ টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সেদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৯৪জন পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিক। তাঁদের অনেকেই এখনও রাজধানীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আন্দোলনের সময় মৃত্যু হয় এক বিক্ষোভকারীরও। এ দিকে, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অভিনেতা দীপ সিধু-সহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে লোক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।