ছুরির মতো দেখতে চিনের চুম্বি উপত্যকা। অবিকল ছুরির মতোই গেঁথে রযেছে ভারতের সিকিম আর ভূটানের মাঝখানে। চুম্বি ভ্যালির একধারে অবস্থিত ভূটানের ডোকা লা মালভূমি। চিনা ভাষায় ওই অঞ্চলের নাম ডোংলাং মালভূমি।
বেজিংয়ের দাবি, ডোকা লা বা ডোংলাংযের উননব্বই বর্গ কিলোমিটার তাদের এলাকা। চুম্বি উপত্যকায় একাধিক সড়ক তৈরি করেছে চিনের সেনাবাহিনী। এবার ভূটানের ডোকা লা মালভূমি পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। তার সঙ্গে রযেছে সেনাঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনাও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, আদতে তিন দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত ওই সড়কটিকে সম্প্রসারিত করতে চায় চিন।
advertisement
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের সেনাবাহিনীর আসল লক্ষ্য, শিলিগুড়ি করিডোর। যা উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগের প্রধান পথ। ডোকা লা থেকে শিলিগুড়ি করিডোরের দূরত্ব খুব বেশি নয়। এখান থেকে সহজেই উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বি উপত্যকায় সড়ক নির্মাণের আড়ালে আদতে সামরিক পরিকাঠামো গড়তে চাইছে চিন। এবং তা নিশ্চিতভাবে ভারতকে চাপে রাখতেই। চিনা সেনাবাহিনীর সড়ক নির্মাণের কাজ তাই গোড়াতেই বানচাল করতে চেয়েছেন সেনাকর্তারা।
বাধা পেয়ে ক্ষিপ্ত চিনের অভিযোগ, ভারতীয় সেনারা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনে প্রবেশ করেছিল। ডোকা লাতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ভূটানের সঙ্গে নিয়মিত কূটনৈতিক যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত। ডোকু লা মালভূমি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের প্রস্তাবে আপত্তি রয়েছে ভুটানেরও। ভারতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত ভেতসপ নামগিয়াল জানিয়েছেন, এবিষয়ে চিনের ব্যাখা চেয়েছেন তাঁরা।
এমনিতে চিনের সঙ্গে তেমন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই ভুটানের। তবে দিল্লিতে অবস্থিত দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বার্তা বিনিময় হয়। ভুটান জানিয়েছে, ডোকা লা মালভূমি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিবাদ রয়েছে। তাই সেখানে কোনওরকম সামরিক কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।