মণিপুরের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক আয়কর দফতরের আধিকারিককে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে খুন করেছে উন্মত্ত জনতা৷ আবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে থাকা ২৭ বছর বয়সি এক সিআরপিএফ জওয়ানের৷
আরও পড়ুন: ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ মুর্শিদাবাদে গিয়েই একশো কোটি বরাদ্দ মমতার, তবু কটাক্ষ অধীরের
advertisement
কিন্তু কেন হঠাৎ আগুন জ্বলল মণিপুরে? ঘটনার সূত্রপাত মণিপুরের তোরবাং অঞ্চলে৷ গত মাসে মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, মেতেই সম্প্রদায়কে এসটি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করার জন্য৷
কিন্তু মণিপুরের নাগা, কুকি সম্প্রদায়ের মানুষ আবার মেতেই-দের এসটি-র আওতায় নিয়ে আসার বিপক্ষে৷ হাইকোর্টের নির্দেশের পরই তার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার চূড়াচাঁদপুরের তোরবাংয়ে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর৷ মূলত আদিবাসীরাই এই মিছিলের ডাক দিয়েছিল৷
তোবাংয়ের এই প্রতিবাদ মিছিলের সময়ই একদল উন্মত্ত জনতা মেতেই সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ হামলা এবং পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি৷ যা ধীরে ধীরে হিংসার আকার ধারণ করে৷ একের পর এক জেলায় ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ৷
মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশই হল মেতেই সম্প্রদায়ের মানুষ৷ আর কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর মানুষ প্রায় চল্লিশ শতাংশ৷ মেতেইদের এসটি তকমা পাওয়া নিয়েই যাবতীয় বিরোধের সূত্রপাত৷ মেতেই সম্প্রদায়ের মানুষ মূলত ইমফল উপ্যতকায় বসবাস করেন৷ আর কুকি এবং নাগারা থাকেন মণিপুরের পার্বত্য অঞ্চলে৷ যা ইমফলকে ঘিরে রয়েছে৷
এতদিন পর্যন্ত অশান্তির বিশেষ আঁচ পড়েনি ইমফলে৷ কিন্তু শুক্রবার মণিপুরের রাজধানীতেও বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা দেখা গিয়েছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীকে পাঠানো হয়৷ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনাকে ফ্ল্যাগ মার্চের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বিজেপি-র বিধায়ক ভুংজাগিন ভালতের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে৷