রান্নার তেল থেকে শুরু করে ডাল ও অন্যান্য আনাজের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের রাখার জন্য কেন্দ্রের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে কিন্তু যেহেতু পেঁয়াজ, টমেটোর উৎস মূলত এই দুই রাজ্য ফলে এক্ষেত্রে কার্যত হাত তুলে দিতে হচ্ছে সরকারকে।
ইকোনমিক টাইমস সংবাদমাধ্যমকে এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন তেলের দাম বাড়ছে। আর আবহাওয়ার কারণে যোগান কমছে সবজির। গত এক সপ্তাহে পিয়াজ টমেটোর দাম পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা মত বেড়েছে। মনে হয় এই দাম আরো বাড়বে।
advertisement
সরকারি তথ্য অনুযায়ী পাইকারি বাজারে গত মাসে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৮ টাকা। এখন পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের কিলো ৩৯ টাকা। গত বছর এই সময়ে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৬ টাকা। আজ দিল্লি মুম্বাই চেন্নাই এর বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিপিছু বিক্রি হচ্ছে।
টমেটোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যে টমেটো ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সেপ্টেম্বরে এখন তা পাইকারি বিক্রেতাদেরই কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকা দিয়ে।
আরও পড়ুন-ভরদুপুরে শহরের ডাস্টবিনে উদ্ধার খুলি-সহ চিতার ছাল! হতভম্ব এলাকাবাসী
যদিও ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে টমেটো আলু পেঁয়াজের দাম গতবারের থেকে সস্তা হবে এ বছর। কেন্দ্রের যুক্তি গত বছরের যে অতিরিক্ত স্টক রয়েছে তাকে আগেই ছেড়ে দেওয়া হবে।
প্রতিবছরই সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে যোগান কমে যাওয়ার জন্য পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়তে থাকে। কিন্তু চলতি বছরে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর বলছে এবছর দাম কমতে পারে। কারণ অক্টোবরের ১২ তারিখ পর্যন্ত ৬৭হাজার মনেরও বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ দিল্লি-কলকাতা, রাঁচি, পাটনা লকনো হায়দ্রাবাদ ব্যাঙ্গালোরে পাঠানো হবে।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও জানানো হচ্ছে, প্রথমে দাগি পেঁয়াজ পুরনো স্টক থেকে স্থানীয় বাজারগুলিতে ছাড়া হবে। এতে সাময়িক ঘাটতি মেটানো যাবে, প্রতি বছর পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার ঘটনাও রোখা যাবে।