এহেন গোয়া দিনভর থাকে সংস্থার অফিসেই৷ এমনকি, যখন রতন টাটা মিটিং করেন, তখনও গোয়ার এই রুটিনের অন্যথা হয় না৷ এই বিল্ডিংয়ে যাঁরা নিয়মিত যান, তাঁরা গোয়াকে চেনেন৷ কিন্তু যাঁরা প্রথম বার যাচ্ছেন তাঁদের কী হবে? বিশেষ করে যাঁরা কুকুর বেশ ভয় পান?
তাঁরাও নিশ্চিন্ত৷ অন্তত করিশ্মা মেহতার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা সেরকমই বলছে৷ ‘হিউম্যান্স অব বম্বে’-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও করিশ্মা তাঁর নিরুপদ্রব অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন লিঙ্কডইন-এ৷ জানিয়েছেন, তিনি কুকুরের উপস্থিতিতে বিশেষ স্বচ্ছন্দ নন৷ কিন্তু সাক্ষাতের সময় সে কথা রতন টাটাকে বলতেও পারছেন না৷ এদিকে বৈঠক যেখানে হচ্ছে, সেই একই ঘরে ছিল সারমেয় গোয়া৷ শেষে নিজের অস্বস্তির কথা করিশ্মা বলেন শান্তনু নায়ডুকে৷ শিল্পপতি রতন টাটার এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট হলেন শান্তনু৷ কিন্তু তাঁদের কথপোকথন ৮৬ বছর বয়সি রতন টাটার কানে যায়৷ তিনি করিশ্মাকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর কোনও অস্বস্তি হচ্ছে কিনা৷
advertisement
আরও পড়ুন : পুলিশের দ্বারস্থ, ফেসবুকে ৫০০০ টাকার ইনাম ঘোষণা, অবশেষে ‘অপহৃত’ পোষ্য ফিরল ঘরে
নিজের সমস্যা বা অস্বস্তির কথা রতন টাটাকে বলতে দ্বিধা করছিলেন করিশ্মা৷ শেষে শান্তনু নায়ডু শিল্পপতিকে জানান যে করিশ্মা কুকুর থেকে ভয় পাচ্ছেন৷ শুনে অশীতিপর শিল্পপতি তাঁর পোষ্য গোয়ার দিকে ঘুরে তাকে কিছু নির্দেশ দেন৷ করিশ্মা বলেন, গোয়াকে চুপ করে ভাল ছেলের মতো বসে থাকতে নির্দেশ দেন রতন টাটা৷ তার পর করিশ্মাকে সাক্ষাৎকার শুরু করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি৷
আরও পড়ুন : লোকের বাড়িতে ঢুকে পড়া বিষধর কোবরাকে অনায়াসে বন্দি করলেন প্রমীলা বনকর্মী, দেখুন রোমহর্ষক ভিডিও
করিশ্মা জানিয়েছেন, এর পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট যত ক্ষণ তিনি সেখানে ছিলেন, গোয়া এক বারের জন্যেও তাঁর কাছে আসেনি৷ এই ঘটনায় তিনি মুগ্ধ৷ কারণ এরকম অভিজ্ঞতা তাঁর প্রথম! লিঙ্কডইনে লিখেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন : চকোলেটে ছিল অসম্ভব দুর্বলতা, লতা মঙ্গেশকরের অক্ষর পরিচয় হয়েছিল বাড়ির কিশোর পরিচারকের কাছে
সাক্ষাৎকার শেষে রতন টাটা তাঁকে জানান যে পথকুকুর গোয়া তাঁদের দত্তক নিয়েছে৷ পরিবর্তে তাঁরাও তাকে দত্তক নিয়েছেন৷