বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন জানিয়েছেন, স্বামী যদি স্ত্রীকে যৌনতায় বাধ্য করেন, তা হলে তাঁর গভীর প্রভাব পড়তে পারে স্ত্রীয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। এটি একদিকে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। স্বামীর এই ধরনের কার্যকলাপ স্ত্রীয়ের মানসিকতায় ভয়ানক ক্ষত তৈরি করতে পারে (Rape is Rape Be it Performed by Man or Husband)।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কেউ ছাড় পাবে না', চক্রান্তের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রামপুরহাট যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য। (Rape is Rape Be it Performed by Man or Husband) বিচারপতি এটিও বলেছেন, সম্পর্কে স্বামী হলেও কোনও পুরুষ মানুষ যদি অপরিচিত কোনও পুরুষের মতো নির্দয় হয়ে স্ত্রীকে যৌনতায় বাধ্য করেন, তা হলে তা সমান শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবেই ধরা হবে। আদালত বলেছে, একজন পুরুষ, পুরুষই। ধর্ষণ ধর্ষণই! (Rape is Rape Be it Performed by Man or Husband) স্বামী হলেও পুরুষ হিসাবে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তা শাস্তি যোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে।
আরও পড়ুন: কতদূর এগোল তদন্ত? রামপুরহাট যাওয়ার আগে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মমতা
বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, কোনও বৈবাহিক সম্পর্কে সাধারণত পুরুষ একটি লিঙ্গ প্রাধান্যের অবস্থানে থাকেন। যা গ্রহণযোগ্য নয়। দীর্ঘকাল ধরে ভারতীয় সমাজে মহিলাদের সম্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করার মতো ঘটনা দেখা যায়। দীর্ঘ কাল ধরে যে একটি চিন্তা চলে আসছে যে স্ত্রীয়ের মগজ, শরীর ও মনে শাসন করার অধিকার একমাত্র স্বামীর রয়েছে, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যে মামলার শুনানি চলছিল, তাতে স্ত্রী অভিযোগ এনেছিলেন স্বামীর বিরুদ্ধে। আদালত সেই মামলায় স্বামীকে ৩৭৬ ধারায় অভিযুক্ত বলে ঘোষণা করে।