এক্সিট পোল ইজ এ পারফেক্ট ইডিয়ট। বহুদিন আগে দেশের প্রাক্তন এক প্রধানমন্ত্রীর করা উক্তিটা এখনও কত প্রাসঙ্গিক, তারই যেন প্রমাণ দিল ছত্তীসগড়। কোথায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, কোথায় চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় ফেরা -- ছত্তীসগড়ের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল বিজেপির। ২০১৩ সালে অর্ধেকের বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল বিজেপি। তবে ভোটের হার ছিল খুব কাছাকাছি।
advertisement
একের পর এক সামাজিক প্রকল্প। ১ টাকা কেজিতে চাল। স্বাস্থ্যবীমা। তবুও ধস সামলাতে পারলেন না চাউলবাবা, রমন সিং। তৃণমূল স্তরের কর্মী-সমর্থকরা অবশ্য বলছেন, বহুদিন ধরেই ঘুন ধরছিল রমন সিং সাম্রাজ্যে। তার সঙ্গে কাজ করে কংগ্রেসের নিখুঁত পরিকল্পনা আর নির্বাচনী ঘোষণা। ছত্তীসগড়ে কৃষকদের বহুদিনের দাবি মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দেন রাহুল। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, ধান উৎপাদনে এগিয়ে থাকা জেলাগুলিতে হাতের অভূতপূর্ব সাফল্য। গণবণ্টনে ৩৬ হাজার কোটির দুর্নীতির অভিযোগও তাড়া করেছে রমন সিংকে। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আত্মীয়দের নাম জড়িয়েছিল দুর্নীতিতে। রমন সিং মন্ত্রিসভার খাদ্যমন্ত্রী ও গণবণ্টন মন্ত্রী গো-হারান হেরেছেন। নির্বাচনী ইস্তেহারে ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ানো, ন্যায্য মূল্যে ওষুধের সহ দশটি পরিষেবার প্রতিশ্রুতিও কংগ্রেসের পক্ষেই গিয়েছে। ভোট প্রচারে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া তেমন বোঝা না গেলেও ভোটের ফলে সেই ছবিটা স্পষ্ট।
ছত্তিশগড়ে বড় মুখ ছাড়াই যুদ্ধে নেমেছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও ঘোষণা করা হয়নি। তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাপ ফেলেনি। এসবের প্রভাব পড়েছে ইভিএমে।
এসবের যোগ ফলেই বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে অবিশ্বাস্য ফল করল কংগ্রেস।