পায়ে হেঁটেই রাম মন্দিরে রামলালা দর্শন করতে হচ্ছে পূর্ণার্থীদের। সোমবারই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাতেই পুণ্যার্থীদের ভিড় জমে গেছিল রাম মন্দির চত্বরে রামলালা দর্শনের জন্য। যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় রাম মন্দিরে দরজা। তবে সোমবার ভোররাত থেকেই লাইন দিতে শুরু করেন পূণ্যার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকেই মন্দিরের দরজা খোলার পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তো পুনার্থীদের মধ্যে। রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। পদপিষ্টর মত পরিস্থিতি ও তৈরি হয়।
advertisement
কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুর দুটোর পর থেকে অবশ্য পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে রাম মন্দির চত্বরে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর নির্দেশে দফায় দফায় পরিকল্পনা নিতে শুরু করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে বসানো হয় লোহার রেলিং। জরুরি ভিত্তিতে মন্দিরের মূল গেট থেকে শুরু করে মন্দিরের মূল প্রবেশ পথ পর্যন্ত গোটাটাই লোহার রেলিং বসানো হয়।
মূলত পূর্ণ্যার্থীদের জন্য যাতে একটি নির্দিষ্ট লাইন তৈরি করা যায় তার জন্যই এই পরিকল্পনা কার্যকরী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পরপরই পুণ্যার্থীদের একটি লাইন বরাবর মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার অবশ্য বিকেলের পর থেকে ভিড়ের ছবি অনেকটাই বদল হয়েছে। যদিও দুপুরের পর থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিশেষ প্রশিক্ষিত পুলিশবাহিনী এটিএস গোটা মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নামানো হয়। বিকেলে পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আজ অর্থাৎ বুধবার থেকে মন্দির চত্বরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।বিশেষ করে পুণ্যার্থীদের মন্দির মূল গেট থেকে মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
তবে মঙ্গলবার পুণ্যার্থীদের ভিড় এতটাই হয় যে রাম মন্দিরের লাগোয়া কয়েক কিলোমিটার রাস্তা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি টোটো,অটো পর্যন্ত চলতে দেওয়া হয়নি রাস্তায়। তবে এদিন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল বলেই দাবি জেলার পুলিশ প্রশাসন এর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়