লড়াই এবার রাজ্যসভার ৬টি আসনের ক্ষেত্রে। যদি ৬টি আসনের ক্ষেত্রে সাতজন প্রার্থী হন তবেই কিন্তু নির্বাচন হবে। নয়তো ছ’টি আসনে ৬ জন প্রার্থী থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁদের জয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- রাশিফল ১০ জুলাই; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
এবার আসা যাক হিসেব-নিকেশের অঙ্কে —রাজ্যসভার ভোটে শুধুমাত্র বিধায়করা ভোট দিয়ে থাকেন। একজন রাজ্যসভার প্রার্থীকে জিততে গেলে ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন হবে। তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা ২১৫ । এছাড়াও ৬ জন বিধায়ক বিজেপি থেকে তৃণমূল শিবিরের নাম লিখেছেন। কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস সম্প্রতি তৃণমূলে এসেছেন। এ ছাড়া নির্দল বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা তৃণমূলের সঙ্গেই সব সময় ঘনিষ্ঠতা রেখে চলেন। ফলে পাঁচটি রাজ্যসভার আসনে আসনে জেতবার জন্য (৪২×৫= ২১০) তৃণমূলের নিজস্ব বিধায়ক সংখ্যায় যথেষ্ট রয়েছে। অন্যদিকে একটি আসনে বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে বিজেপির জয় নিশ্চিত। এই মুহূর্তে তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৬৯ জন। মুকুল রায়কে ধরলে তা ৭০। ফলে ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন আসার পর বেশ কিছু বাড়তি ভোট থাকবে বিজেপির হাতে।
advertisement
আরও পড়ুন– মিথ্যা বলেই বিয়ে করেছিলেন! জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনলেন বরেলির এসডিএমের বাবা
রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন খেলা হবে এই ক্ষেত্রেই, যদি বিজেপি দ্বিতীয় কোনও প্রার্থী দেয়, তাহলেই রাজ্যসভার আসন গুলিতে ভোট হবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে, রাজ্যসভার প্রার্থীকে জেতাবার জন্য বিধায়ক কেনাবেচা হয়ে থাকে। ফলে বিজেপি যদি মনে করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে দ্বিতীয় আসনের প্রার্থী দেবে তখনই ভোটের অনেক অঙ্ক উঠে আসবে।
এদিকে এই মুহূর্তে তিনজন বিধায়ক জেলবন্দি রয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা। যেহেতু তাঁরা বিধায়ক, ফলে তাঁদের ভোট দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানাতে হবে। যদি তাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয় তখনই তাঁরা সংশোধনাগারের বাইরে কিছু সময়ের জন্য বের হতে পারবেন। ফলে এই তিন বিধায়ক আদৌ ভোট দিতে আগ্রহী কিনা, সেটা নিয়েও কিন্তু রাজনৈতিক চর্চা চলছে।