শুক্রবার পাহাড়ে বিজেপির জোটসঙ্গী জিএনএকএফ প্রধান মন ঘিসিং, সিপিআরএম নেতা রত্নবাহাদুর রাই, বিজেপির জেলা সভাপতি কল্যান দেওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ। ছিলেন দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা এবং কার্শিয়ংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মাও। সেখানেই ঠিক হয়েছে সেপ্টেম্বরে পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকবে কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে এই ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। ক্রমেই বিজেপিবিরোধীরা চাপ বাড়িয়ে আসছিল। এমনকী জোটসঙ্গীরাও সুর চড়াচ্ছিলেন। জোটের প্রতিনিধিদের দাবি মেনে আজ সাংসদ দিল্লির নর্থ ব্লকে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে পাহাড়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
advertisement
বৈঠক শেষে নীরজ জিম্বা জানান, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। পাহাড়ের ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির বিষয়েও দ্রুত কেন্দ্র সমাধান করবে। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যে সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছিল বিজেপি এবং গোর্খাদের দাবীর উল্লেখ ছিল। তা মিটবে বলে আজ আশ্বাস মিলেছে। এটা ভালো দিক।
অন্য দিকে পাহাড় নিয়ে নীরব সাংসদ রাজু বিস্তা। সংসদের অধিবেশনে একটিও কথা তোলেননি তিনি। এই অভিযোগ তুলে গত ১লা আগস্ট থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন ভারতীপন্থী এবিজিএলের সাধারন সম্পাদক এসপি শর্মা। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দল, সংগঠন তাঁর পাশে দাঁড়ায়। আজ দার্জিলিংয়ের মহকুমা শাসক অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানান। তবুও অনড় ছিলেন তিনি। কিন্তু রাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের খবর আসার পর অনশন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তাঁর দাবি, এটা পাহাড়বাসীর নৈতিক জয়। আমাদের দাবী আদায়ের একটা পদক্ষেপ।
পাহাড়ে বিজেপিবিরোধী গুরুংপন্থী মোর্চা, অনীতপন্থী মোর্চা, জন আন্দীলন পার্টি সহ বেশ কয়েকটি অরাজনৈতিক সংগঠন জোট বাঁধতেই নড়েচড়ে বসে গেরুয়া শিবির। এমনটাই ধারনা রাজনৈতিক মহলের।