সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে দশহরা উপলক্ষে ভারতীয় সেনার ‘শস্ত্রপুজা’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গুজরাতের ভুজ অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সমাবেশ চলছে। অন্যদিকে সীমান্তের ওপারেও নিজেদের সেনাবাহিনী বাড়িয়েছে ইসলামাবাদ। এই সময় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
এই প্রসঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অপারেশন সিঁদুরেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “স্যার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের সৈনা আগ্রাসনের যথাযোগ্য জবাব দেওয়া হবে। এরফলে ইতিহাস, ভূগোলও বদলে যেতে পারে।”
advertisement
তিনি আরও বলেন, “১৯৬৫ সালে ভারতীয় সেনা লাহোর পর্যন্ত দখল করে নিয়েছিল। ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত এই ক্রিক অঞ্চল করাচি পর্যন্ত বিস্তৃত।”
প্রসঙ্গত, ক্রিক লাইন বা ক্রিক অঞ্চল ৯৬ কিলোমিটার বিস্তৃত একটি ‘বিতর্কিত’ সীমান্তরেখা যা কচ্ছের রান থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে।
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার ৭৮ বছর কাটলেও ভারতের পক্ষ থেকে বহুবার এই বিতর্কিত অঞ্চলের বিষয়টি কথাবার্তার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, পাকিস্তানের মনোভাব ভীষণ অস্পষ্ট।”
অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারত সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। সেটা লেহ থেকে স্যার ক্রিক থেকে পর্যন্ত সর্বত্র।”
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের বায়ু সেনাকে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা চাইলেই যখন ইচ্ছে যেখানে খুশি পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।”