কিন্তু রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলার একটি পরিবার তাদের ছেলের বিয়েতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। শহরের উপকণ্ঠে পুরক এলাকার বাসিন্দা কৈলাসচন্দ্র বিষ্ণোই তাঁর ছেলে রোহিতের বিয়েতে এমন অনেক কাজ করেছেন, যা মানুষকে নতুন ভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে। প্রশংসা কুড়িয়েছেন কৈলাসচন্দ্র।
আরও পড়ুন: প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়ার যন্ত্রণা কাটাতে এক দারুন কাণ্ড ঘটালেন যুবক! যা শুনলে চোখ উঠবে কপালে
advertisement
পুরকের বাসিন্দা কৈলাসচন্দ্র বিষ্ণোই তার ছেলের বিয়ের পর প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করেছেন পলাশ পাতা দিয়ে তৈরি খাবার থালা-বাটি। একক ব্যবহার্য প্লাস্টিকের থালা বাটি পরিবেশ দূষণের কারণ। তা পরিহার করে বার্তা দিতে চেয়েছেন কৈলাস। পলাশ পাতার থালায় অতিথি আপ্যায়ন শেষ হলে সেগুলি ফেলে দিতে কোনও অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুন: এবার থেকে ঘরের কাজ সামলাবে যন্ত্রমানব! মানুষের সুরাহা করবে কৃষক-পুত্রের অনন্য আবিষ্কার
যোধপুরের আন্তর্জাতিক পরিবেশবিদ খামুরাম বিষ্ণোই এবং তাঁর পরিবেশবাদী দল উপস্থিত ছিলেন প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে। তাঁরা নব দম্পতির হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন বৃক্ষ রোপণের অশ্বগন্ধার চারা।
শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, ছেলের বিয়েতে ঐতিহ্য রক্ষার বার্তাও দিতে চেয়েছেন কৈলাস। তাই রোহিতের বিয়ের অনুষ্ঠানে কবি সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে দেশের বিখ্যাত জাতীয় কবি দীপক পারেখ, গীতিকার রমেশ শর্মা প্রমুখ তাঁদের কবিতা পাঠ করেন। কবি-সম্মেলন শেষে বিষ্ণোই পরিবারের পক্ষ থেকে অতিথিদের বই উপহার দেওয়া হয়। বিষ্ণোইয়ের কথায়, ‘আমরা বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়াওয়া, নাচ, গানে লক্ষ লক্ষ টাকা জলের মতো খরচ করি। কিন্তু প্রকৃতি ও সংস্কৃতির রক্ষায় কিছুই কী করতে পারি না! সেই ভাবনা থেকেই ছেলের বিয়েতে এই ব্যবস্থা করেছি।’
গত ২৫ বছর ধরে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছেন খামুরাম বিষ্ণোই। ফ্রান্সে ‘বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলন’-এ দু’বার ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। খামুরাম বলেন, ‘প্রকৃতি-দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ হল ডিসপোজেবল-প্লাস্টিকের উপর আমাদের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা। কৈলাসের অনুষ্ঠান মানুষের চোখ খুলে দিতে পারে।’