বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই আফিমের বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। নতুন সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ নায়ক নুনাভাটের তত্ত্বাবধানে এই অভিযান চালানো হয়েছে। পদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এলাকায় মাদক এবং অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- পূর্ব বর্ধমানে মৃত পাঁচ ! একই দিনে রাজ্যে বাজ পড়ে মৃত্যু হল ১৭ জনের
advertisement
মাদক পাচারের গোপন খবর কীভাবে সামনে এল?
গোপন সূত্রে খবর এসেছিল শিকার পুলিশের কাছে। জানা গিয়েছিল যে, গোড়িয়া বড়া এলাকার বাসিন্দা মনোজ কুমার নিজের ফরচুনার গাড়িতে বেআইনি আফিম পাচার করছেন। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সদর থানার ইন-চার্জ ইন্দ্ররাজ মারোড়িয়ার নেতৃত্বে ডিটিএস এবং পুলিশের এক বিশেষ দল গঠিত হয়। এদিকে সিও ধোড় সুরেশ শর্মার তত্ত্বাবধানে জয়পুর-বিকানের হাইওয়ে-তে একটা নাকাবন্দি করা হয়। সেখানেই থামানো হয় একটি ফরচুনারকে। আর সেই গাড়িটিতে তল্লাশি করতেই ৩.৭৭ কেজি আফিম এবং দেড় লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়। আপাতত গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মনোজকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর তার সহযোগী হরির খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
আচমকা বিলাসবহুল জীবনযাপনই প্রশ্ন তুলে দেয়:
হঠাৎ করেই বদলে গিয়েছিল মনোজ কুমারের জীবনযাত্রা। আর সেটাই তার গ্রেফতারির বড় কারণ। স্থানীয় পুলিশ এবং পুলিশ সূত্রের মতে, সম্প্রতি বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন মনোজ। একটি দামি ফরচুনার গাড়িতে চেপে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল তাকে। একেবারে রাজার হালে জীবন কাটাচ্ছিল সে। এদিকে তার তেমন আয় না থাকা সত্ত্বেও এমন বিলাসবহুল জীবনযাপনে সন্দেহ হয় স্থানীয় পুলিশের। আশপাশে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে আফিম পাচার করছিল মনোজ। এই বেআইনি ব্যবসা থেকে প্রচুর মুনাফা লাভ করেছিল সে। আপাতত তার সমস্ত সম্পত্তির পরিমাণ এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমনকী মাদক পাচার করে তৈরি করা আর কী কী সম্পত্তির মালিক মনোজ, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।