মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলার একটি টোল প্লাজার কাছ থেকে সিলোম জেমস নামে ওই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করে মেঘালয় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল৷ ওই অভিযুক্ত পালানোর সময় তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে রাজা রঘুবংশীকে হত্যার পর ইনদওরে ফিরে এই প্রোমোটারের ভাড়া দেওয়া একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে আত্মগোপন করেছিল সোনম৷ সেখানেই নিজের সঙ্গে থাকা গয়নার বাক্স এবং অন্যান্য কিছু জিনিস লুকিয়ে রেখেছিল সে৷ ওই বাড়ির যিনি নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন, তাঁকেও পরে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশ৷
advertisement
সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোনমের এই গয়নার বাক্স রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বলে মনে করছে পুলিশ৷ শুধু ওই গয়নার বাক্স নয়, নিজের প্রেমিক রাজের একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ল্যাপটপও ওই ভাড়ার ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখেছিল সোনম৷
অভিযোগ, ওই ফ্ল্যাটেই সোনমের খালি গয়নার বাক্সটি পুড়িয়ে ফেলে জেমস নামে ওই ব্যবসায়ী৷ তবে ঘটনাস্থল থেকে রাজার কোনও গয়নার খোঁজ পায়নি পুলিশ৷ সোনমের প্রেমিক রাজের পিস্তল, ল্যাপটপেরও খোঁজ মেলেনি৷ ফরেন্সিক টিম গিয়েও ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে৷
জানা গিয়েছে, রাজা খুনে ধৃত অন্যতম ভাড়াটে খুনি বিশালকে এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন জেমস৷ গত ১৩ জুন জেমস সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছিলেন, গত ৩০ মে বিশা্ল তাঁর কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিতে আসেন৷ মাসিক ১৭ হাজার টাকায় ওই ফ্ল্যাটটি বিশালকে ভাড়া দেয় জেমস৷ আইনি চুক্তিও হয় বলে দাবি করেন তিনি৷৷ মেঘালয়ে রাজাকে হত্যার পর এই ফ্ল্যাটে এসেই বেশ কয়েকদিন কাটিয়েছিল সোনম৷ এর পর উত্তরপ্রদেশে গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে৷ রাজার পরিবারের অভিযোগ ছিল, হনিমুনে যাওয়ার সময় নিজের এবং রাজার যাবতীয় গয়না সঙ্গে নিয়ে যায় সোনম৷