তদন্তের চলাকালীন রাজা রঘুবংশীর দাদা সচিন রঘুবংশী মুখ ক্লহুলেছেন ফের। তাঁর দাবি সোনমকে দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, যাতে সব সত্যি সামনে চলে আসে। এর আগে সোনমের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্টের দাবিও করেছেন তিনি, কারণ তাঁর অনুমান এই খুনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে থাকতে পারে।
advertisement
ইনদওরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় নিহতের পরিবার নতুন দাবি তুলেছে। রাজার দাদা সচিন রঘুবংশীর অভিযোগ, মৃতের স্ত্রী সোনম রঘুবংশী পুলিশকে বিভ্রান্ত করছেন এবং হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সূত্র লুকিয়ে রেখেছেন। সচিন সোনম ও অন্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইনদওরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন, যাতে খুনের প্রকৃত সত্য সামনে আসে। সচিন সোনমের পুরো পরিবারের নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করারও দাবি জানিয়েছেন, কারণ তাঁর সন্দেহ আত্মীয় এবং বন্ধুরাও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত।
সোনম ও তাঁর কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ দু’দিন বাড়িয়েছে শিলং আদালত। এই মামলায় ধৃত আরও তিন অভিযুক্ত বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মিকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। রাজা রঘুবংশীর মা উমা রঘুবংশী বলেন, ‘সোনম কেন আমার ছেলেকে মেরে ফেলল? তার কাছ থেকে উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আমার আত্মা শান্তি পাবে না।” সোনম, তার বন্ধুবান্ধব এবং সমস্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
২৩ মে সোহরা (চেরাপুঞ্জি) থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান রাজা রঘুবংশী। ২ জুন গভীর খাদ থেকে তার ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে উঠে আসে, সুপরিকল্পিতভাবে রাজাকে খুন করা হয়েছে। আর সেই খুনের পিছনে মূল চক্রী তাঁর স্ত্রী সোনম। রাজা ১১ মে ইনদওরে সোনমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০ মে দু’জনেই মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, গত ৮ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে সোনম আত্মসমর্পণ করে এবং রাজ কুশওয়াহা ও বাকি অভিযুক্তদের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা পরিবার ইনদওরে পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তদন্তে নেমে মেঘালয় পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছে ইতিমধ্যেই। তবে মৃতের পরিবার মামলাটি শিলং থেকে ইনদওরে স্থানান্তরের দাবি করছেন যাতে তারা ন্যায়বিচার আসে তাড়াতাড়ি।