তৃণমূলের অভিনেতা সাংসদ দীপক অধিকারীর (দেব) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, করোনার কারণে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তাই এখনই বয়স্কদের ভাড়ায় ছাড় দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, কতদিনের মধ্যে প্রবীণদের জন্য রেলভাড়ায় ছাড় আবারও চালু করা হবে, সে প্রশ্নেরও কোনও জবাব দিতে পারেননি রেলমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- হাল ছাড়ছে না সপা, বিধান পরিষদ নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির হয়ে লড়বেন ডাঃ কাফিল খান
advertisement
এদিন লোকসভায় রেলের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় একই প্রশ্ন জানতে চান কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীও। দেবের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রীর জবাব, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে করোনার আগের সময়ের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রেল থেকে আয় কমেছে সরকারের।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে চার শ্রেণীর দিব্যাঙ্গ, ১১ শ্রেণীর রোগী এবং পড়ুয়াদের জন্য রেল ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়। প্রবীণ যাত্রী সহ আরও অন্যান্য শ্রেণীর যাত্রীর জন্য এই মুহুর্তে আগের মতো রেলভাড়ায় ছাড় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান লিখিত প্রশ্নে জানতে চেয়েছিলেন, আগামী তিন বছরে কি সরকার দেশজুড়ে ৪০০টি বন্দে ভারত সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতে চলেছে ? সে প্রশ্নের সরাসরি কোনও জবাব দিতে পারেনি রেলমন্ত্রক।
নুসরতের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে দুটি বন্দে ভারত সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে। একটি নিউদিল্লি-বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং অপরটি নিউদিল্লি-মাতা বৈষ্ণোদেবী কাটরা বন্দেভারত এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন- Cyclone Ashani: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে তৈরি হচ্ছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় অশনি!
অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রেলের অপারেশন ক্ষমতা, রোলিং স্টক,বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দিক বিবেচনা করে আরও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নুসরতের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি চেয়ার কম্পার্টমেন্টের ভাড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসের এসি চেয়ারের মূল ভাড়ার ১.৪ গুণ এবং এক্সিকিউটিভ শ্রেণীর ক্ষেত্রে তা শতাব্দী এক্সপ্রেসের এক্সিকিউটিভ শ্রেণীর মূল ভাড়ার ১.৩ গুণ। এরসঙ্গে বিভিন্ন পরিষেবা ও জিএসটি বাবদ খরচ আলাদা বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক।
এদিকে, রেলের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের ঘারে দোষ চাপালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রাজ্য সহযোগিতা না করাতেই বহু প্রকল্প আটকে রয়েছে বলে লোকসভায় অভিযোগ করেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র কেন্দ্রের একার চেষ্টায় রেলের অগ্রগতি হতে পারে না। তাঁর আরও দাবি, সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাসে বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, রাজ্যগুলিকে নিয়ে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। রেলের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় রেলমন্ত্রী জানান, রেলের বেসরকারিকরণের কোনও ভাবনাচিন্তা নেই। তাঁর কথায়, রেল একটি জটিল প্রতিষ্ঠান। প্লাটফর্ম, এবং অন্যান্য বহু বিষয় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ রেলের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয় লোকসভায়। সেখানেই কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী প্রবীণদের জন্য টিকিটমূল্যে ছাড়ের প্রসঙ্গ তুলে রেলমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, কতদিনের মধ্যে তা আবার ফিরিয়ে আনা হবে! রেলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের কেন বিগত কয়েক বছরে আয় কমছে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
