সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক এই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির যে অভিযোগ উঠেছিল, তারই সূত্র ধরে এই তল্লাশি৷ বিবিসি-র কর্মী এবং সাংবাদিকদের ল্যাপটপ, মোবাইলও আয়কর দফতরের কর্তারা হেফাজতে নিয়েছেন৷ সূত্রের খবর, ২০১২ সাল পর্যন্ত সংস্থার হিসেব নিকেশ খতিয়ে দেখেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা৷ আয়কর দফতরের আধিকারিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হলেই সংস্থার কর্মী এবং সাংবাদিকদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সুর বদলে দুই সুর সুকান্ত ও শুভেন্দুর, কৃতিত্ব কার? দড়ি টানাটানি রাজ্য বিজেপিতে
অভিযোগ, বিবিসি-কে বার বার নোটিস দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আয়কর দফতরকে প্রয়োজনীয় কোনও নথি দেয়নি বিজেপি৷ অভিযোগ, সংস্থার লাভের অঙ্ক কম করে দেখিয়ে অন্যান্য অধীনস্ত সংস্থার খাতে সরিয়ে দিত বিবিসি৷
মঙ্গলবার সকালে আয়কর দফতর হানা দেওয়ার পর বিবিসি-র পক্ষ থেকে প্রথমে ট্যুইট করে জানানো হয়, তারা আধিকারিকদের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছেন এবং বিষয়টি দ্রুত মিটে যাবে বলে তারা আশাবাদী৷ যদিও সন্ধের দিকে অবশ্য ফের বিবিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বেশ কিছু কর্মীকে অফিস ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হলেও কয়েকজনকে থেকে যেতে বলা হয়েছে৷ সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মীদেরকে দেওয়া বার্তায় জানানো হয়, যাঁরা অফিসে আসেননি, তাঁরা যেন না আসেন৷ এ ছাড়াও তল্লাশি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্যও নিজেদের কর্মীদের নির্দেশ দেয় বিবিসি৷
আরও পড়ুন: 'আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাইয়ের মতো,' বললেন কংগ্রেসের প্রার্থী সুদীপ
আমেরিকা জানিয়েছে, বিবিসির মুম্বই এবং দিল্লির দফতরে আয়কর তল্লাশির বিষয়টি তারা জানেন এবং গোটা প্রক্রিয়ার উপরে নজর রাখা হচ্ছে৷ একই অবস্থান নিয়েছে ব্রিটিশ সরকারও৷ যদিও নিউ ইয়র্কে ভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস-এর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের হেনস্থা বন্ধের জন্য মোদি সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে৷ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকেও এই আয়কর হানাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপরে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷
ইতিমধ্যেই বিবিসি-র দফতরে আয়কর হানাকে মোদি সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের পরিচয় বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস, শিবসেনার মতো বিরোধী দলগুলি৷ কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাই আইনের ঊর্ধ্বে নয়৷ বিজেপি-র পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে, বিবিসি ভারত বিরোধী তথ্য প্রচার করছে৷ কংগ্রেস এবং বিবিসি-র নীতি একই বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপি-র পক্ষ থেকে৷