আজ সকালে রাজ্যসভায় ২৬৭ ধারায় অর্থাৎ অন্যান্য সব কাজ বন্ধ রেখে লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবিতে সাসপেনশন ওফ বিজনেস নোটিশ দেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব।
অন্যদিকে লোকসভায় লখিমপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব দেন রাহুল গান্ধি, অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং কে সুরেশ। সকালে সভা শুরু হতেই প্রবল হট্টগোল শুরু হয়ে যায় লোকসভায়। লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত অজয় মিশ্র টেনির পদত্যাগ এবং শাস্তির পাশাপাশি কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারার ঘটনায় একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিরোধীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: CPIM নেতা-নেত্রীদের বাড়িতে BJP বিধায়ক! নতুন 'সমীকরণ' নিয়ে জোর জল্পনা
তবে, শুধু লখিমপুর নয়, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ দেয় কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআইএম, শিব সেনার মত বিরোধী দলগুলি। তবে, রঞ্জন গগৈ নিয়ে প্রথম স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া মহারাষ্ট্রের তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধ ফৌজদরি মামলা রুজু করার আবেদন জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালকে চিঠি লিখেছেন। দিন কয়েক আগে টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে সংসদ ভবন নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: কলকাতা নিয়ে BJP-র আবেদন 'খারিজ', ১১১ পুরসভার ভোটে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের!
রঞ্জন গগৈ ইস্যুতে একসঙ্গে রয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধীরা। তৃণমূলের তরফে আগেই বলা হয়েছিল, ইস্যুভিত্তিক বিরোধী ঐক্য রক্ষা করা হবে, সেই মতোই রঞ্জন গগৈ ইস্যুতে হাতে হাত ধরে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোড়াফুল শিবির। একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন রঞ্জন গগৈ। সেখানে তাঁকে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, তাঁর শপথ নেওয়ার পর থেকে ৬৮টি সভায় কেন তিনি মাত্র ৬টিতে হাজির থেকেছেন। এর উত্তরে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সাংসদ বলেন, "আপনি একটা বিষয়কে গুরুত্ব দিলেন না যে, আমি একটা বা দুটো অধিবেশনে কোভিডের কারণে উপস্থিত থাকব না জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। গত শীতকালীন অধিবেশনের কিছুদিন আগে পর্যন্ত আরটিপিসিআর টেস্ট করে তবেই সংসদভবনে যাওয়া যেত। আমি সেখানে যাওয়া স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করিনি। যেভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তাতে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করিনি।"