গত মাসে রাহুলকে বিয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সেদিনই বড় মেয়ের বাড়িতে নৈশভোজের ফাঁকে রাহুলকে বলেছিলেন চম্পারণ মিট রান্না শিখিয়ে দেবেন। তার এক মাসের মধ্যেই রান্না শিখিয়ে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া সারলেন তাঁরা। লালু জানান, ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় যখন পাটনায় দাদাদের কাছে এসেছিলেন, তখন রান্না করতে শিখেছিলেন। তাঁদের জন্য রান্না করতেন। বাসন মাজতেন। রাহুল জানান যে তিনিও অল্পবিস্তর রান্না করতে পারেন। ইউরোপে যখন কাজ করতেন, তখন একাই থাকতেন। ফলে নিজের কাজটা নিজেকেই করতে হত।
advertisement
আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে ‘ঘুমিয়ে’ পড়ল রোভার প্রজ্ঞান, চন্দ্রযান ৩ কি তবে শেষ? ইসরোর নয়া দাবিতে তোলপাড়
আরও পড়ুন: ইলিশ নাকি চিংড়ি, কোনটা খেলে লুকিয়ে বাড়ে ওজন? ডার্বি শুরুর আগে জেনে নিন, নইলে বিপদ!
রান্নার পর খোশমেজাজে আড্ডা, খাওয়া, খাওয়ার পর ফের আড্ডা জমে ওঠে রাহুল গান্ধি ও লালু প্রসাদ যাদবের। ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। লালুর বাসভবনেই চেটেপুটে চম্পারণ মিট ও রুটি খান কংগ্রেস সাংসদ। শুধু তাই নয়, বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরার জন্য নিয়ে যান। প্রিয়াঙ্কাও একেবারে কবজি ডুবিয়ে মাংস খান। সেই সঙ্গে দাদার সঙ্গে মজা করে জানতে চান যে সত্যিই রাহুল রেঁধেছেন কিনা। তাতে অবশ্য রাহুল কোনও লুকোছাপা করেননি। বরং সত্যিটাই বলে দেন যে একা রান্না করেননি। লালু এবং লালুর মেয়ে মিসা ভারতীর সঙ্গে রেঁধেছেন।
যা শুনে প্রিয়াঙ্কা হেসে ফেলেন, বলেন ভাল হয়েছে খেতে, গ্রুপ কুকিংয়ে রান্না। আর সেই পুরো রান্না ও খাওয়া-দাওয়া পর্বের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে কংগ্রেস। গোটা পর্বের ফাঁকে ফাঁকে রাজনৈতিক কথাবার্তাও হয়। হালকা মেজাজেই বিজেপিকে আক্রমণ শানান রাহুলরা। রান্না করতে করতেই বিজেপির ‘ক্ষমতার স্পৃহাকে’ নিশান করেন ওয়ানাডের সাংসদ।