এ দিন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) যে লখিমপুর যাবেন, তা আগে থেকেই জানিয়েছিল কংগ্রেস৷ রাহুল সহ অন্যান্য বিরোধী নেতাদের লখিমপুর (Lakhimpur Kheri) যেতে বাধা দিলে যে আখেড়ে বিরোধীদেরই লাভ, সেটা সম্ভবত বুঝতে পেরেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ সহ বিজেপি নেতৃত্ব৷ এ দিন তাই রাহুলকে বাধা না দিলেও বিমানবন্দরে নামা মাত্রই তাঁকে নিজেদের ঘেরাটোপে লখিমপুরে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় উত্তর প্রদেশ পুলিশ (Uttar Pradesh)৷ নিজেদের গাড়িতেই তাঁরা রাহুলকে লখিমপুরে নিয়ে যাবেন বলে জানান পুলিশ কর্তারা৷ বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে রাহুলকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: অনুমতি পেল তৃণমূল, আমরা কেন পাব না! যোগীরাজ্যের হটস্পটে পা রাখতে চেয়ে প্রশ্ন রাহুলের
যদিও পুলিশের কোনও শর্তই মানতে চাননি রাহুল৷ তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, কোন আইনে তাঁকে নিজের ইচ্ছে মতো রুটে লখিমপুর পৌঁছতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ৷ জবাবে পুলিশ কর্তারা যুক্তি দেন, সাধারণ মানুষের যাতে হয়রানি না হয়, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যদিও পুলিশের এই শর্ত মানতে রাজি হননি রাহুল গান্ধি৷ রাহুলের সঙ্গে ছিলেন পঞ্জাবের এবং ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং চরণজিৎ সিং চান্নি৷ তাঁরাও পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন৷
রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেন, 'আমি নিজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রোটোকল জানি৷ এদের কিছু একটা পরিকল্পনা আছে৷ আমাকে কয়েদির মতো পুলিশের গাড়িতে বসিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে৷'
পুলিশের শর্ত মানতে নারাজ রাহুল গান্ধি বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিমানবন্দরেই ধরনায় বসে থাকেন৷ এর পর একরকম বাধ্য হয়েই রাহুলকে নিজস্ব গাড়িতেই লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ৷
সূত্রের খবর রাহুল প্রথমেই লখিমপুর যাবেন না৷ আগে তিনি এলআরপি গেস্ট হাউসে গিয়ে বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সঙ্গে দেখা করবেন৷ তার পর তাঁকে নিয়েই লখিমপুরে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন রাহুল৷ রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি সহ মোট পাঁচ জনকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন৷ পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও সর্বাধিক পাঁচ জন করে সদস্যকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷