চারদিন ধরে বিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে কার্যত পণ্ড হতে বসেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। জনগণের করের টাকা নষ্ট হচ্ছে বলে আলোচনা হচ্ছে। তবে আজ মধ্যাহ্নভোজের আগে পর্যন্ত সেভাবে বিশৃঙ্খলা হয়নি। করোনা এবং তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ সকালে সংসদ শুরু আগে কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কীভাবে বিরোধীদের বিক্ষোভের মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন টার্গেট নিয়ে ঝাঁপাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! সব নজর ১৩ ডিসেম্বরের দিকে
এদিকে, বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং মন্তব্য নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেন, সাসপেন্ড হওয়া মাননীয় সাংসদরা বিষয়টিকে অগণতান্ত্রিক বলছেন তার কোনও যুক্তি নেই। দলীয় মুখপত্র হোক কিংবা সাংবাদিক সম্মেলন, তৃণমূল নেতৃত্ব একাধিকবার রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। এমনকী, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি-কংগ্রেস জোটের পর রাহুল-বিজয় সরদেশাই জুটিকে 'বিশ্বাসঘাতক’ বলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। পালটা ঘাসফুল শিবিরের সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও। অধিবেশনের আগে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকেও ছিলেন না তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। বরং সংসদের রণকৌশল ঠিক করতে আলাদা বৈঠক করেছিল ঘাসফুল শিবির। এর পরও বিরোধী ধর্ণা মঞ্চে উভয় দলের উপস্থিতি সংসদীয় রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'ওহ্, লাভলি', গুরুদায়িত্ব পেয়েই আমজনতার সঙ্গে বাসে সওয়ার মদন মিত্র!
এদিন সৌগত রায় বলেন, "তৃণমূলের অবস্থান এই ক্ষেত্রে পৃথক ও স্বতন্ত্র। ভুললে চলবে না ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা পূর্বে কংগ্রেসের সঙ্গে শরিক বা একত্রে সরকার চালিয়েছেন। তৃণমূল তা কখনোই করেনি। স্বাভাবিক ভাবে তৃণমূলের পৃথক অবস্থান প্রত্যাশিত।" তিনি এও বলেন, বিরোধী ঐক্য পূর্বের মতই বহাল রয়েছে৷ তাঁকে কেউ ভাঙতে পারবেনা। সৌগতের দাবি, বিজেপির মুষলপর্ব শুরু হয়েছে। তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। অন্যদিকে, রাজ্যসভাও এদিন বেশিক্ষণ চলতে পারেনি। সভার কাজ শুরু হওয়া মাত্র তা প্রবল হইহল্লার মুখে পড়ে ও সভার কাজ মুলতুবি রাখতে বাধ্য হন চেয়ার ভেঙ্কাইয়া নাইডু। বেলা ১২ টা নাগাদ ফের সভার কাজ শুরু হলে, বিশৃঙ্খলাও শুরু হয়। মল্লিকার্জুন খর্গে ফের বহিস্কৃত সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা বলেন। পত্রপাঠ তা খারিজ করেন ডেপুটি চেয়ারম্যান।