রাহুল গান্ধি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে, তাহলে জম্মু থেকে লালচক পর্যন্ত কেন পদযাত্রা করছেন না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ?" তাঁর অভিযোগ, কাশ্মীরবাসী কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এর জন্য রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এবার কি মোঘলাই পরোটার নামও বদলে দেবে বিজেপি? নামবদলের রাজনীতি নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
advertisement
চিন প্রসঙ্গ তুলে রাহুল বলেছেন, দেশের মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মনে করেন, ভারতের কোনও অংশ দখল করে নেই চিন, এটা মারাত্মক প্রবণতা। তিনি আরও বলেন, 'সম্প্রতি আমি কয়েকজন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। এমন কি, লাদাখের একটি প্রতিনিধি দল পর্যন্ত জানিয়েছে, ভারতীয় ভুখণ্ডের প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে চিন।'
আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় গলদের অভিযোগ কংগ্রেসের! কাশ্মীরে সাময়িক স্থগিত ভারত জোড়ো যাত্রা
কাশ্মীরে ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা করে রাহুল গান্ধি ভালোবাসার বার্তা দেন। তিনি বলেন, 'ঘৃণা একদিন পরাজিত হবে, ভালবাসা জিতবে। ভারতে আশার নতু সূর্যোদয় হবে একদিন।' একইসঙ্গে সংঘ পরিবার এবং বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার উপর আক্রমণ চালাচ্ছে আরএসএস এবং বিজেপি। সব জায়গায় এই হামলার চিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সংসদে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। এখন সাংসদ হওয়ার কোনও অর্থই নেই।'
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য রাহুল গান্ধির লাল চকে পতাকা তোলা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এর কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বিজেপি মুখপাত্র এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'রাহুল গান্ধি কীভাবে আজ শন্তিপূর্ণভাবে লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারলেন? কারণ, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছেন মোদিজি। তারপর সেখানে প্রচুর পর্যটকের সমাবেশ হয়েছে। কংগ্রেস আমলে জম্মু ও কাশ্মীরে ছিল শুধুই সন্ত্রাসের পরিবেশ ছিল।'