২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচার চলাকালীন কর্নাটকের কোলারে একটি জনসভায় ‘মোদি’ পদবি তুলে একটি মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল৷ সেই মন্তব্য নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেন জনৈক বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি৷ সেই মামলায় চলতি বছরের গত ২৩ মার্চ দোষী সাব্যস্ত হন কংগ্রেস নেতা৷ তাঁকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা৷
advertisement
তবে, সেই দিনই জামিন পেয়েছিলেন রাহুল৷ উচ্চ আদালতে আর্জি জানানোর জন্য ৩০ দিন সময়ও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে৷ কিন্তু, সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সেই রায়ের উপর ভিত্তি করে রায় ঘোষণার ঠিক পরের দিন, অর্থাৎ, ২৪ মার্চই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷ কারণ হিসাবে সামনে রাখা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ।
এরপরে একে একে সুরাতের দায়রা আদালত, গুজরাত হাইকোর্টেও খারিজ হয় রাহুলের সাজা এড়ানোর আবেদন৷ এরপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাহুল৷
সূত্রের খবর, আবেদনে রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, ‘‘যদি গুজরাত হাইকোর্টের ৭ জুলাইয়ের রায় স্থগিত না করা হয়, তবে তা বাক্স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, স্বাধীন চিন্তাভাবনার কণ্ঠরোধের পরিবেশ তৈরি করবে।’’
আরও পড়ুন: ‘আর কতদিন বেটি জ্বলবে?’, একুশের মঞ্চ থেকে মণিপুর নিয়ে সুর চড়ালেন মমতা, টার্গেট মোদি
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলায় তাদের অবস্থান জানাতে গুজরাত সরকার ও গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদিকে নোটিস পাঠিয়েছে৷
আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের উপরে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলে সাংসদ পদ ফিরে পেতেও পারেন রাহুল৷