এই ঘটনার পরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি করে রাহুলের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিজেপি৷ কংগ্রেস নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জগদীপ ধনখড় নিজেও৷ শেষ পর্যন্ত এই বিতর্কে মুখ খুললেন রাহুল৷
এ দিন রাহুলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেন, তিনি শুধুমাত্র বিরোধী সাংসদদের একত্রে বসে প্রতিবাদেরই ভিডিও করেছিলেন৷ কল্যাণের অনুকরণকে নয়৷ কংগ্রেস শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কে, কাকে কীভাবে অপমান করল? ওখানে সব সাংসদরা বসেছিলেন, আমি সেই ভিডিও তুলেছিলাম৷ যা এখনও আমার ফোনেই রয়েছে৷’
advertisement
আরও পড়ুন: সেতুর উপরে রিলস-এ ব্যস্ত ৫ ছাত্র, হঠাৎ চলে এল ট্রেন! বীভৎস দৃশ্যে শিউরে উঠল মুর্শিদাবাদের সুতি
বরং পাল্টা প্রশ্ন তুলে রাহুল বলেন, ‘আমাদের প্রায় দেড়শো জন সাংসদকে বের করে দেওয়া হল৷ তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই৷ দেশে বেড়ে চলা বেকারত্ব নিয়ে সংসদে কোনও আলোচনা নেই৷’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, কাউকে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না৷ একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, ‘মিমিক্রি করাটাও একটা শিল্প৷ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি নিজেও অন্যকে অনুকরণ করেছেন৷ আপনারা চাইলে আমি সেই ভিডিও দেখিয়ে দিতে পারি৷’
অন্যদিকে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এ দিন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ফোন করে গতকালের এই ঘটনার সমালোচনা করে তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন৷ কয়েকজন সাংসদের ভূমিকারও প্রধানমন্ত্রী নিন্দা করেছেন বলে দাবি করেছেন উপরাষ্ট্রপতি৷