মঙ্গলবার। ঘড়িতে তখন সকাল ৭ টা। গত ৪ ডিসেম্বরই মধ্যপ্রদেশের যাত্রা সেরে রাজস্থানে প্রবেশ করেছে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা। এখন পাইলট-গেহলটের রাজ্যেই কর্মসূচি সারছেন রাহুল। এদিন সকালে, কোটামুখী হাইওয়ে ধরে হাঁটছিলেন রাহুলরা। সঙ্গে সচিন পাইলট-সহ অন্য নেতারাও ছিলেন। সেই সময়ই ঝালাওয়াড়ের কাছে একটি বিজেপি কার্যালয়ের দিকে তাকিয়ে চুমু ছুড়ে দেন রাহুল।
advertisement
আরও পড়ুন: ২১০০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতি! আদালতে জানালেন সিবিআই SIT প্রধান অশ্বিন শেনভি
বিজেপির কার্যালয়ের আপাদমস্তক ছিল গেরুয়া পতাকায় মোড়া। কার্যালয়ের ঠিক বাইরেই ছিল গগনচুম্বী ব্যানার। তাতে নরেন্দ্র মোদী, জে পি নড্ডা, বসুন্ধরা রাজেদের ছবি। কার্যালয়ের ছাদে গেরুয়া পতাকা হাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। রাহুলের পদযাত্রা সামনে দিয়ে যেতেই তাঁরা সেই পতাকা দোলাতে শুরু করেন। রাহুলের চোখ সেদিকে যেতে, তিনিও তাঁদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। ছুড়ে দেন 'ফ্লাইং কিস'।
এখানেই শেষ নয়, পাশে থাকা অন্য কংগ্রেস নেতাকর্মীকেও বিজেপির কার্যালয় লক্ষ্য করে হাত নাড়তে বলেন রাহুল। সচিন-সহ মন্ত্রী রামলাল সেই নির্দেশ পালনও করেন। প্রত্যুত্তরে বিজেপির নেতাকর্মীরাও মুখে চওড়া হাসি এনে সৌজন্য ফিরিয়ে দেন। এক অদ্ভুত রাজনৈতিক সৌজন্যের সাক্ষী থাকে সকাল ৭টার ঝালাওয়াড়।
রাজস্থানের ঝালাওয়াড় রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের কেন্দ্র। রাজস্থান বিজেপির অন্যতম ঘাঁটি। বিজেপির যে কার্যালয় লক্ষ্য করে রাহুল চুম্বন ছুড়ে দিয়েছেন, তা হল বসুন্ধরা পুত্র তথা বিজেপি সাংসদ দুষ্মন্ত সিং-এর কার্যালয়।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, "এটাই রাহুল গান্ধি। এ নিয়ে খুব বেশি তলিয়ে দেখার কিছু নেই। এর আগেও রাহুল বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষকে ভারত জো়ড়ো যাত্রায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।"