ম্যানহোল খোলা ছিল। পূর্ত দপ্তরের তরফে বিভাগীয় তদন্তে ম্যানহোল খোলা থাকার উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। দায় স্বীকার করে নিলেও স্থানীয় মানুষজনই সেই ম্যানহোল সরিয়েছে নিজেদের স্বার্থে। সেই রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে বলে পূর্ত দফতর সূত্রের খবর।
তাদের অধীনে থাকা সমস্ত ম্যানহোল কিংবা অরক্ষিত হাইড্রেনে বিশেষ নজরদারি ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে pwd -র অধীনে থাকা সমস্ত ম্যানহোল ভারী সিমেন্টের স্লাব দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে। যাতে কেউ সহজেই ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা বা বন্ধ করতে না পারে। তবে শুধু পূর্ত দপ্তরই নয়, কলকাতা পুরসভার তরফেও এ ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি চালানোর কথা বলেছেন প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
advertisement
আরও পড়ুন- দুয়ারে হাঁসের পালক, কাশফুল শিল্প- হাওড়ায় শিল্পের 'অন্য দ্বার' খুলে দিলেন মমতা
খাস কলকাতা শহরে ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির। সেই মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের পালা শুরু হয়।গত শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দমদম সেভেন ট্যাঙ্কের কাছে। যা কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা থাকাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের লোক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের।
দায় কার? এই প্রশ্নের উত্তরে যখন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ নিয়ে সরব বাম-ডান সব পক্ষ, ঠিক তখনই ম্যানহোলকে কেন্দ্র করেও শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'দীর্ঘদিন ধরে পুরসভাগুলি কার্যত অচল হয়ে রয়েছে। মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। পুর প্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণেই এসব ঘটছে। পুর পরিষেবা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে।'
যদিও দিলীপ ঘোষের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ওনাদের কাছ থেকে আর পরিষেবা শিখতে হবে না। বিজেপি আবার ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে ছবি তুলে খোলা ম্যানহোল খোলা ম্যানহোল বলে চিৎকার করছে কিনা সেটাও দেখতে হবে।