তিন-চার মাস আগে পাকিস্তানের কর্তারপুরে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি। জ্যোতির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, তিনি জ্যোতির পাকিস্তান যোগ নিয়ে অবগত ছিলেন না এবং তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আমি যদি জানতাম সে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে তাহলে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম না। যদি কোনও তদন্তকারী সংস্থা জেরা করতে চায়, আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
advertisement
প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি পুরীর বাসিন্দা ইউটিউবার। তিনি তার ভ্রমণ ভিডিওর জন্য বিখ্যাত। তিনি ওড়িশা এবং ভারত জুড়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে ভিডিও করেন। ইউটিউবে মোট ১৪,৬০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ইনস্টাগ্রামে ২০,০০০ ফলোয়ার রয়েছে। সেনাপতি জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগের কারণে এই মুহূর্তে পুলিশের স্ক্যানারে। প্রিয়াঙ্কা তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘Prii_vlogs’-এ পাকিস্তান সফরের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, “পাকিস্তানে ওড়িয়া গার্ল। কর্তারপুর করিডর গাইড। ওড়িয়া ভ্লগ।”
আরও পড়ুনঃ অতি সামান্য ব্যয়ে এক চাষেই মালামাল, প্রতি কাঠায় ১০ কুইন্টাল ফলন, ৩ মাসে ৮০০০০ টাকা লাভ
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার তিন মাস আগে জ্যোতি জম্মু ও কাশ্মীর যান, সেখান থেকে পহেলগাঁওয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, তাকে পাকিস্তানের হাই কমিশনের এক কর্মী ড্যানিশ ফাঁদে ফেলেন, যিনি পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সঙ্গে যুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরীতে তিনদিন থাকার সময় জ্যোতির সঙ্গে দেখা হয় প্রিয়াঙ্কার। জ্যোতির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব প্রায় আট মাস আগে অনলাইনে শুরু হয়। আমি যদি ওর বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের কথা জানতাম, তাহলে বন্ধুত্ব করতাম না। আমি যে কোনও এজেন্সির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। এসপি আগরওয়াল বলেন, তদন্তকারীরা জ্যোতির ওড়িশা সফর এবং পুরী ভ্লগারের সঙ্গে কথোপকথন সম্পর্কে কোনও অপরাধমূলক বিবরণ খুঁজে পাননি।