Money Making Idea: অতি সামান্য ব্যয়ে এক চাষেই মালামাল, প্রতি কাঠায় ১০ কুইন্টাল ফলন, ৩ মাসে ৮০০০০ টাকা লাভ

*বিহারে কৃষিকাজের ধারা ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী ফসলের পরিবর্তে, কৃষকরা এখন অর্থকরী ফসল চাষের উপর বেশি জোর দিচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ কৃষকরা কৃষিকাজে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন এবং কম জমিতেও বেশি ফলন পাচ্ছেন, যার কারণে তাঁরা ভাল আয়ও করছেন। প্রতীকী ছবি। 

*ছাপড়ায় তরুণ কৃষকদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র (KVK) থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে, তাঁরা অর্থকরী ফসল থেকে তাদের আয়ের উৎস বৃদ্ধি করছেন। ছাপড়ার একজন তরুণ কৃষক জিতেন্দ্র কুমার সিং বিগত চার বছর ধরে লাল বিট চাষ করে প্রচুর লাভ করছেন। প্রতীকী ছবি। 

*আরকে জাতের বিটরুট থেকে বাম্পার ফলন পাওয়া যাচ্ছেঃ ছাপড়া জেলার নগর ব্লকের ভিখাপুর গ্রামের তরুণ কৃষক জিতেন্দ্র কুমার সিং বিগত চার বছর ধরে কৃষিকাজ করছেন। তিনি এক বিশেষ জাতের লাল বিটরুট চাষ করছেন এবং প্রতি একরে ১০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন পাচ্ছেন। প্রতীকী ছবি। 

*মাত্র তিন মাসে ৮০ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। জিতেন্দ্র আরকে জাতের বিটরুট চাষ করছেন। এই জাতের বিশেষত্ব হল এর খরচ কম এবং ফলন বেশি। কৃষক জিতেন্দ্র সিং জানালেন যে, তিনি চার কাঠা জমিতে বিট চাষ করেন। সেখানে ইতিমধ্যেই তিন কাঠা জমি থেকে ফসল তোলা হয়েছে। একই সময়ে, তাঁরা অন্য একটি জমি থেকে বিটরুট তোলা শুরু করেছেন। বাজারে যাওয়ারও দরকার নেই, ব্যবসায়ীরা খামার থেকেই এটি কিনে নিয়ে যায়। এর ফলে যানবাহনের খরচও সাশ্রয় হয়। প্রতীকী ছবি। 

*একটি বিটরুটের ওজন দুই কেজি পর্যন্ত হতে পারেঃ কৃষক জিতেন্দ্র সিং জানান যে, এই এলাকার শত শত কৃষক লাল বিটরুট চাষ করে ভাল আয় করছেন। তিনি জানান যে, এখানে লাল বিটরুটের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতীকী ছবি। 

*তিনি বলেন, আরকে জাতের বিটরুটের বিশেষত্ব হল, একটি ফলের ওজন আধা কেজি থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তিনি বলেন যে, তিনি সময়ে সময়ে কেভিকে বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন, যা কেবল কৃষিকাজেই সাহায্য করে না বরং আয়ের সুযোগও বৃদ্ধি করে। প্রতীকী ছবি। 

*বিটরুট চাষে তিন মাস সময় লাগে। কম জমিতেও বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। তিনি জানান যে, তিনি জৈব পদ্ধতিতে বিটরুট চাষ করেন। এর ফলে তিনি ভাল ফলন পাচ্ছেন এবং আয়ও বাড়ছে। প্রতীকী ছবি।