গত ১৮ জুলাই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুণে এটিএস৷ রাজস্থানের একটি এনআইএ-এর মামলার সূত্র ধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়৷ মহম্মদ ইমরান এবং মহম্মদ ইউনুস নামে ওই দুই অভিযুক্তকে পুণের ব্যস্ত কোঠরাড এলাকা থেকে ধরে এটিএস৷ এই দুই ধৃতই ইসলামিক স্টেট খোরসান প্রভিন্স বা আইকেএসপি-র শাখা সংগঠন সুফা-র হয়ে কাজ করত৷ এনআইএ মামলায় অভিযুক্ত ছিল তারা৷ এর পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রত্নাগিরি থেকে নাসারুদ্দিন কাজি নামে আরও একজনকে হেফাজতে নেয় পুণে এটিএস৷ ধৃত নাসারুদ্দিন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার৷
advertisement
আরও পড়ুন: হিমোগ্লোবিন অনেকটাই কম, রক্ত দেওয়া হল বুদ্ধদেবকে! অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি
পুণে এটিএস সূত্রের খবর, ইমরান এবং ইউনুস দু জনেই আইএস-এর হয়েও কাজ করে৷ হামলার জন্য তারা যে জায়গাগুলি বেছে নিয়েছিল সেগুলি শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণই নয়, কৌশলগত ভাবেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷ ফলে এই জায়গাগুলিতে হামলা চালাতে পারলে তার ফলও হত মারাত্মক৷
জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ের ছাবাড় হাউস, কোলবা বস্তির কাছে নৌবাহিনীর হেলিপ্যাড সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রেকিও করে এসেছিল এই দুই অভিযুক্ত৷ সূত্রের দাবি, মুম্বাইয়ের যে মন্দিরগুলিতে সবথেকে বেশি ভিড় হয়, সেখানেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷
এ ছাড়াও ভারতের অগ্রগতি থমকে দিতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিতেও হামলা চালানোর ছক কষা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে৷ কোলবা এলাকায় একাধিক ছবিও তুলেছিল দুই অভিযুক্ত৷ তাদের ল্যাপটপ থেকে পাওয়া তথ্য দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বড় কনভয় নিয়ে চলাচলকারী ভিআইপি-রাও এই অভিয়ুক্তদের নজরে ছিলেন৷
সূত্রের দাবি, অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে এই হামলার ছক কাটা হচ্ছিল৷ একদিক েযমন দুই অভিযুক্তই রেকি চালাচ্ছিল, তেমনই অন্যদের আইইডি-র মতো বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণও দিচ্ছিল তারা৷ যে জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়, সেখানে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একাধিক নথি এবং জিনিসও উদ্ধার করা হয়েছে৷