TRENDING:

এই বাড়িতে মহালয়াতেই শুরু হয়ে যায় দুর্গা পুজো

Last Updated:

গোটা বছর নিঃসঙ্গ, নিঃস্তব্ধ, জনমানবহীন পোড়ো বাড়ি। কিন্তু পুজোর কটা দিন নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় বর্ধমানের কালিকাপুর জমিদারবাড়ি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: গোটা বছর নিঃসঙ্গ, নিঃস্তব্ধ, জনমানবহীন পোড়ো বাড়ি। কিন্তু পুজোর কটা দিন নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় বর্ধমানের কালিকাপুর জমিদারবাড়ি। সাড়ে তিনশো বছরের ঐতিহ্য মেনেই মহালয়ার দিন থেকে পুজো শুরু হয় । ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে পুজোর ক’দিন ভিটেয় ফিরে আসেন জমিদারবাড়ির শরিক-আত্মীয় স্বজনরা । নিজেদের পুজো ভেবে আনন্দে মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরাও।
advertisement

বর্ধমানের আউশগ্রাম। শাল-সেগুনের ঘন জঙ্গলে ঘেরা কালিকাপুর। বসতি এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেই জঙ্গলের মাঝেই জমিদারবাড়ি। তার সামনে বিশাল নাটমন্দির। সাড়ে তিনশো বছর আগে এখানেই দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন বর্ধমান রাজার দেওয়ান পরমানন্দ রায়।

চারদিন নয়। কালিকাপুর জমিদারবাড়িতে পুজো চলে এক পক্ষকাল ধরে। মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো। নিষ্ঠা অটুট থাকলেও আর্থিক অনটনের কারণে জমিদার পরিবারের এই পুজোয় সেই পুরাতনি জৌলুস আর জাকজমকে টান পড়েছে। আগে দেবীর নৈবদ্য সাজানো হতো সোনা ও রুপোর থালায়। জমিদারি বিলোপের সঙ্গে সঙ্গে সে রেওয়াজও গেছে।

advertisement

কালিকাপুর জমিদারবাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণই ছিল তোপধ্বনি। পুজোর কদিন লালদিঘির পাড়ে কামান দাগা হতো। সেই কামানের শব্ধ শুনে হতো ছাগবলি। কিন্তু বর্তমানে সেই ঐতিহ্যেও ছেদ পড়েছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চোখে স্বপ্ন ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলা,বাবা পুকুর পাড়ে,ক্ষেতের পাশে পিচ করে দিলেন মেয়েকে
আরও দেখুন

জমিদার বাড়ির এই পুজোতে একসময় নাটমন্দির আলোকিত হত বিশাল বিশাল ঝাড়বাতিতে। পুজোর ক’দিন নিয়ম করে বসত কবিগানের আসর। কলকাতা থেকে আসতো যাত্রাদল। এখনও সেসব না থাকলেও জমিরদার পরিবারের সদস্যরাই মেতে ওঠেন নাটক-গানে। ফের প্রাণ ফিরে পায় কালিকাপুরে রায়েদের ঠাকুরদালান।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
এই বাড়িতে মহালয়াতেই শুরু হয়ে যায় দুর্গা পুজো