১৯২৯ সাল থেকে দেবীর আরাধনা করে আসছে মিলনী ক্লাব। নতুন জেলা হিসেবে কালিম্পঙের ঘোষণার পর, সকলেই ঠিক করেছিলেন এবার আরও জাঁকজমকভাবে পুজো হবে। সেইমতো প্রাথমিক পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাদ সেধেছে পাহাড়ের অস্থিরতা।
বিমল গুরুঙের ডাকা টানা বনধের জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, বড্ড দেরি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার আঁচ পড়েছে শারদোৎসবে। পুজোর ঠিকানা টাউন হল থেকে বদলে হয়েছে ঠাকুরবাড়ি। নবমীতে মহাভোগ হলেও, বাকি দিনগুলিতে থাকছে না খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। আর এতেই আপশোসের শেষ নেই।
advertisement
অথচ গত বছর পর্যন্তও ছবিটা ছিল এক্কেবারে আলাদা। বাঙালিদের উৎসবে মাততেন নেপালিরাও। ধুমধাম করে হতো পুজো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের টানে মণ্ডপে ভিড় জমাতেন পর্যটকরাও। কিন্তু সেসব এখন ইতিহাস। স্থানীয়দের মুখে ঝরে পড়ছে আক্ষেপ।
বোমা, গুলির আওয়াজ থামুক। কাটুক অশান্তির মেঘ। আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুক পাহাড়। মা দুর্গার কাছে এই আর্তি কালিম্পংবাসী। সামনের বছর ফের উৎসবে মুখর হবে শহর, এই আশায় বুক বাঁধছেন পুজো উদ্যোক্তারাও।