পঞ্জাব সরকার বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি এসআইটি কমিটি গঠন করেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই অধ্যক্ষ স্বীকার করেছেন যে ছবিগুলো তাঁর কম্পিউটার থেকে নেওয়া। এই বিষয়ে পুলিশের প্রধান কাজ হবে স্বচ্ছ ভাবে ঘটনার তদন্ত করা। গ্রামবাসীরা স্বীকার করেছেন যে তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন প্রাক্তন ছাত্রই ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এগিয়ে এসেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: গাড়ি তো চালান! ড্যাশবোর্ডের এই ১০ চিহ্নের মানে জানেন না ৯৯% মানুষই! আপনি জানেন?
পঞ্জাব বিধানসভার বিদায়ী স্পিকার এবং আনন্দপুরের তিনবারের কংগ্রেস বিধায়ক রানা কে পি সিংয়ের (Rana K P Singh) সঙ্গে ওই অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তবে রানা বলেছেন, অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই এবং তিনি এর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চান। কংগ্রেসের তরফেও অধ্যক্ষের সঙ্গে কোনও প্রকারের যোগসূত্র অস্বীকার করা হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের বক্তব্য যে তিনি একজন দলীয় কর্মী ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বাজেট ভাষণ কাণ্ড ঘিরে ফের ধুন্ধুমার বিধানসভায়, সাসপেন্ড ২ বিজেপি বিধায়ক
২০০০ সালের প্রথম দিকে তিনি প্রথম স্কুল শুরু করেছিলেন৷ ২০১৬ সালে এটি জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখনই গ্রামবাসীরা সন্দেহ করতে শুরু করেন ওই অধ্যক্ষের চরিত্র সম্পর্কে। তাঁরা বলেছেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে তিনি মেয়েদের যৌন নিপীড়ন করছেন, কিন্তু আমাদের কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। মেয়েরা কখনও অভিযোগ করেনি, এমনকী তাদের বাবা-মায়ের কাছেও নয়।” পুলিশের অনুমান, অধ্যক্ষ সম্ভবত তাদের তোলা ছবি ফাঁস করার হুমকি দিয়ে তাদের চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন। আরেক পঞ্চায়েত সদস্য বলেছেন: “কেউ এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি কারণ কারণ তাতে মেয়েদের অসম্মান ছাড়া আর হত না। আপাতত আমরা এখান থেকে স্কুল স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সেবার স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হওয়ার কয়েকদিন পরে, তিনি আবারও স্কুল খোলেন। তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের ঘনিষ্ঠতার কারণে গ্রামবাসীরা চুপ থাকাই ভাল বলে মনে করেছিলেন। বছরের পর বছর ধরে, অফিসিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, স্কুলটি সরকার থেকে অনুদান হিসাবে ৩৫ লক্ষ টাকা পেয়েছে। অধ্যক্ষের তোলা ছবিগুলি তাঁর প্রাক্তন বন্ধু এক ফার্মাসিস্টের দ্বারা ফাঁস হওয়ার পরে পাবলিক ডোমেনে প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে৷