২০২৪-এ ভারতের মসনদে কে বসবেন, তা মোটামুটি ঠিক হয়ে যাবে ২০২২-এর এই নির্বাচন থেকেই। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগে দিল্লিতে রবিবার দিনভর অনুষ্ঠিত হবে বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক (BJP National Executive Council Meeting)। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী কৌশল এবং রণনীতি।
বিশেষত দেশে করোনা বিপর্যয় মোকাবিলা, প্রতিষেধক বণ্টন, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে বিরোধীরা যখন কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্রমাগত দুষে চলেছে, এমন একটা সময় পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর যে কোনও মূল্যে এই চ্যালেঞ্জ উতরোতে চাইছে বিজেপি। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানে দলের সাংগঠনিক অগ্রগতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপির শোচনীয় পরাজয় এবং উপনির্বাচন গুলিতেও একের পর এক পরাজয় নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।
advertisement
আরও পড়ুন: কেদারনাথে আদি শঙ্করাচার্যের মূর্তি উন্মোচন Narendra Modi-র, উত্তরাখণ্ডের রাজনীতিতে কেদারনাথ তাস
১৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩টি লোকসভা আসন এবং ২৯ টি বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে।রবিবার সকাল ১০ টা থেকে এনডিএমসি-র কনভেনশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা-সহ কর্মসমিতির সদস্যরা।
নাড্ডার সভাপতিত্বে দলের এটাই প্রথম কর্মসমিতির বৈঠক।বাংলা থেকে বৈঠকে যোগ দিতে পৌঁছেছেন দিলীপ ঘোষ, অনুপম হাজরা। করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে দলের সমস্ত রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) এবং অন্য জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে চাবুকের ঘা! কারণ কী? মুহূর্তে ভাইরাল সেই দৃশ্য
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং জানিয়েছেন, আগামিকাল সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত চলবে কর্মসমিতির বৈঠক৷ এবারের বৈঠকে পেশ হবে রাজনৈতিক প্রস্তাব। দিল্লির এনডিএমসি কনভেনশন সেন্টারে মোট ১২৪ জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের রাজ্য সভাপতি ও অন্য সদস্যরা রাজ্য দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন।সভায় উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন নাড্ডা।সমাপ্তি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অন্য দিকে, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ স্বভাবতই কর্মসমিতির বৈঠকের তিনি যোগ দিচ্ছেন না। যা অস্বস্তি বাড়াবে বিজেপির। কমিটির সদস্য রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীও। বৈঠকে তিনি যোগ দেন কিনা সেদিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।